বুড়ি হয়ে গেলে তোমরা তো ক্রাশ বলতে পারবা না : পূর্ণিমা

বিয়ের খবরে অন্তর্জালজুড়ে আলোচনায় চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। মন ভেঙেছে কারও, কেউ বা জানিয়েছেন শুভেচ্ছা। কদিন আগে ৪১-পা রাখা পূর্ণিমার রূপমাধুরী নিয়ে নেটমাধ্যমে চলছে চর্চা। অনেকেই অন্তর্জালে মন্তব্য করতে গিয়ে তাঁকে ‘তিন প্রজন্মের ক্রাশ’ তকমা দিয়েছেন। কেউ বলছেন, তাঁর ‘বুড়ি’ হওয়া বহু দূর।
পূর্ণিমার সৌন্দর্য নিয়ে যে চর্চা হয়, তিনি যে অনেকের ক্রাশ, তা জানা বাকি নেই স্বয়ং নায়িকার। পূর্ণিমাও জানেন, বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। এক পুরোনো সাক্ষাৎকারে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন এ ঢালিউড ডিভা।
অভিনয়জীবনের ২০ বছর পূর্তিতে একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চলচ্চিত্রযাত্রার কথা বলতে গিয়ে পূর্ণিমা বলেছিলেন, ‘ক্যারিয়ারের ২০ বছর আর দীর্ঘ জার্নি নিয়ে একটু ছোট করে বলি। দীর্ঘ জার্নি নিয়ে বলতে গেলে তো আসলে দুই লাইনে বলে শেষ হবে না। কিন্তু এটা একটা ঝামেলা হয়েছে, এই দীর্ঘ ২০ বছরে মানুষ অনেকে অনেক কিছুই আমাকে ধারণা করে। একে তো হচ্ছে আমার বয়স নিয়ে। আমি ২০ বছর ক্যারিয়ারই করেছি, আমার কি তাহলে ৪০, ৫০? অনেকে অনেক ধরনের... ফেসবুকে যেহেতু আমরা লাইভে আছি, অনেক বাজে কমেন্ট করা শুরু করে। আমি কবে বুড়ি হব, কবে আমার বয়স হবে, মানে আমাকে হয় বুড়ি দেখার জন্যই দর্শকেরা খুব মুখিয়ে আছে। আমি বুড়ি হয়ে গেলে তখন তো তোমরা ক্রাশটা লিখতে পারবা না। আর মানুষ বয়সের সাথে বুড়ি হবেই। তোমাদেরও মা আছে, বোন আছে, সবাই বয়সের সাথে সাথে বুড়ি হবে।’
পূর্ণিমা যুক্ত করেন, ‘এত অস্থির কেন আমাকে বুড়ি দেখানোর জন্য?... তোমরা অ্যাপ্রিশিয়েট করো... হ্যাঁ, আমি এখনও পর্যন্ত আছি, ভালোভাবে কাজ করছি এবং তোমাদের ভালো ভালো কাজ দিতে পারছি। সেটা অ্যাপ্রিশিয়েট করো। কে বুড়ি হলো, কার বয়স কী, কে কোথায় চলে যাচ্ছে, বদনামগুলো না করো।’
২১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাতে হুট করে খবর, ফের বিয়ে করেছেন চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। বহুজাতিক একটি কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে গত ২৭ মে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। এই খবর নায়িকা জানিয়েছেন গতকাল, দুই মাস পর।
২৭ মের বিয়ে প্রসঙ্গে পূর্ণিমা জানিয়েছেন, ‘তিন বছরের বন্ধুত্ব আমাদের। দুই পরিবার আমাদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়। পারিবারিকভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।’
জানা গেছে, পূর্ণিমার বর্তমান স্বামী আশফাকুর রহমান রবিন পেশায় দেশের বহুজাতিক একটি কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। লেখাপড়া করেছেন সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন। বিয়ের পর তাঁরা রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় একত্রে বসবাস করছেন।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে কেটেছে পূর্ণিমার শৈশব। কৈশোরে চলে আসেন ঢাকায়। ঘটনাক্রমে নাম লেখান সিনেমায়। দুই যুগের অভিনয় ক্যারিয়ারে শতাধিক দর্শকনন্দিত ছবি উপহার দিয়েছেন। পাশাপাশি ছোট পর্দা, অর্থাৎ টেলিভিশনেও করেছেন চমৎকার কিছু কাজ।
১৯৯৮ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেন পূর্ণিমা। ছবিতে নায়ক হিসেবে পেয়েছেন সেই সময়ের হার্টথ্রুব রিয়াজকে। প্রথম ছবি দিয়েই বাজিমাত করেছিলেন। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না’ ছবির জন্য পূর্ণিমা শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন।