বেনাপোলে ‘আছর’ ছবির শিল্পী-কলাকুশলীদের একাংশ কোয়ারেন্টিনে
ইফতেখার চৌধুরীর নতুন চলচ্চিত্র ‘আছর’। ভূতের গল্প নিয়ে এই ছবির শুটিং হওয়ার কথা আইসল্যান্ডে। বাংলাদেশে আইসল্যান্ডের দূতাবাস না থাকায় ভারতে গিয়েছিলেন শিল্পীরা। তবে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বিশ্বময়। ভারতে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন। যে কারণে সেখানেই আটকা পড়েছেন শিপন মিত্র ও সাঞ্জু জনসহ বেশ কয়েকজন অভিনয়শিল্পী।
মূলত দিল্লিতে পাসপোর্ট আটকে যাওয়ায় ছবির টিম কলকাতায় আটকা পড়েছে। তবে ১০-১২ জন শিল্পী ও কলাকুশলী পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশের উদ্দেশে রওনা দেন। এই শিল্পী ও কলাকুশলীরা বর্তমানে বেনাপোলে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। আগামী সপ্তাহে তাঁদের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে কলকাতা থেকে এনটিভি অনলাইনকে সাঞ্জু জন বলেন, ‘আমাদের পাসপোর্ট দিল্লিতে রয়েছে, এখনো হাতে পাইনি। তবে ৮ এপ্রিল আমাদের ছবির ১০-১২ জন শিল্পী ও কলাকুশলীর পাসপোর্ট চলে আসে। বিশ্বের অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় তাঁরা বেনাপোল হয়ে দেশে ফেরার চেষ্টা করেন। বর্তমানে তাঁরা সবাই বেনাপোলে কোয়ারেন্টিনে আছেন। চলতি সপ্তাহে তাঁদের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।’
একই টিমের হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে এক দল আগে পাসপোর্ট পেলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সাঞ্জু বলেন, ‘আমাদের দুটি টিম করে স্লিপ করা হয়েছিল। যাঁদেরটা আগে করা হয়েছে, তাঁরা (পাসপোর্ট) পেয়ে গেছেন। তাঁরা হাতে পাওয়ার পর পরই ভারতে লকডাউন শুরু হয়। যে কারণে আমরা আটকা পড়ি।’
এর আগে সাঞ্জু জন জানান, ‘আছর’ ছবির শুটিং হবে আইসল্যান্ডে। বাংলাদেশে সে দেশের দূতাবাস না থাকায় ভারত থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। মূলত ভিসার আবেদন করতেই তাঁরা ভারতে গিয়েছিলেন। কলকাতায় লকডাউনের আগের দিন তাঁদের পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার কথা ছিল, তবে পাননি। যে কারণে তাঁরা কলকাতার একটি হোটেলে কোয়ারেন্টিনে আছেন।
সে সময় বাংলাদেশের দর্শকের উদ্দেশে সাঞ্জু জন বলেন, ‘আমরা দেশের বাইরে আছি, যে কারণে প্রতি মুহূর্তে অনলাইনে দেশের খবর নিচ্ছি। আমার মনে হয়েছে, আমাদের দেশের অনেক মানুষই এখনো বুঝতে পারেনি করোনাভাইরাস বিষয়টি কী। যে কারণে অনেকেই বিভিন্ন স্থানে জড়ো হচ্ছেন। আপনাদের প্রতি অনুরোধ, নিয়ম মেনে চলুন। আমাদের জন্য সুন্দর একটি পৃথিবী অপেক্ষা করছে। সবাই ভালো থাকবেন, আমাদের জন্য দোয়া করবেন সবাই।’
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের সক্রিয় কয়েকজন শিল্পীদের নিয়ে গঠিত ‘টিম ইয়ংস্টার’। এই টিমের সদস্য সাঞ্জু জন ও শিপন মিত্র। ভারতে থেকেই দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন দুজন।