বড়লোকের বেটি লো : ৯ দিনে ভিউ ১০০ মিলিয়ন!

Looks like you've blocked notifications!
গেন্দা ফুল গানের মিউজিক ভিডিওতে বাদশাহ ও জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। ছবি : সংগৃহীত

দশ দিনও পূর্ণ হয়নি, এরই মধ্যে ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবে ১০০ মিলিয়ন পূর্ণ করেছে ভারতের বিখ্যাত র‍্যাপার বাদশাহ ও সংগীতশিল্পী পায়েল দেবের ‘গেন্দা ফুল’ গানটি। গানটিতে মডেল হয়েছেন বাদশাহ, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজসহ অনেকে। তবে গানটির কপিরাইট নিয়ে এখনো বিতর্ক জারি আছে।

শাড়ির সঙ্গে বাঙালি নারীর নাম জড়িয়ে আছে সুদীর্ঘকাল। ঐতিহ্যবাহী এই পোশাকে বাঙালি নারীকে কল্পনায় ধারণ করে লেখা হয়েছে অসংখ্য কবিতা, গান। আর সেই শাড়ির সঙ্গে যদি থাকে বড় লাল টিপ আর মোহময়ী ভঙ্গিমা, তাহলে আর যায় কোথায়! আর ভক্তদের মনের কথা জেনেই কি না কে জানে, এ গানে আকর্ষণীয় বাঙালি নারীর ভূমিকায় হাজির হয়ে অন্তর্জাল কাঁপিয়ে দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। বলা চলে, শ্রীলঙ্কা বংশোদ্ভূত এই নজরকাড়া সুন্দরীতে এখন বুঁদ সবাই। এর প্রভাব পড়ছে ইউটিউবের ভিউতে।

শুধু তা-ই নয়, গানের মূল আকর্ষণ ‘বড়লোকের বেটি লো লম্বা লম্বা চুল, এমন মাথা বিন্ধে দিব লাল গ্যান্দা ফুল’ বহু পুরোনো এ গানের ব্যবহার। ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া গানটি এরই মধ্যে অনেকে নিজস্ব ধাঁচে গেয়েছেন। কিন্তু এবার গানের কিছু অংশ ব্যবহৃত হয় বাদশাহ-পায়েলের গানে। বাকি চরণগুলো অবশ্য হিন্দিতেই গাওয়া হয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, জনপ্রিয়তা পেলেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না গানটির। বাংলা ফোক গানের চরণ যুক্ত করায় এরই মধ্যে কপিরাইট আইন ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে গানটির বিরুদ্ধে। আর এ নিয়ে মুখ খুলেছেন পায়েল দেব।

বলিউড লাইফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পায়েল দেব বলেন, ‘বিষয়টি হচ্ছে, তাঁদের হাতে কোনো প্রমাণ নেই। প্রতিষ্ঠান ও তাঁদের মধ্যে কথা হচ্ছে। কিন্তু সূত্রের কাছ থেকে আমি জানতে পেরেছি, তাঁদের কাছে কোনো প্রমাণ নেই। আপনি ইউটিউবে গেলে দেখবেন, এই গান ছয় থেকে সাতবার ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলাতেও কেউ গানটিতে ক্রেডিট দেননি। তাঁদের নাম কোথাও উল্লেখ করা নেই। শৈশব থেকেই একে আমরা একে ফোক গান (লোকসংগীত) হিসেবে জানি এবং আমরা সেটা ব্যবহার করেছি। ইউটিউবেও তা উল্লেখ করেছি। আসলে ফোক গানের কোনো স্বত্ব নেই। আমি যতদূর জানি, তাঁদের নাম আইপিআরএসেও উল্লেখ নেই। তাহলে তাঁরা কী দাবি করছেন?’

দেখুন গানটি :

পত্রপত্রিকার খবর, বাংলা লোকসংগীতশিল্পী রতন কাহার ‘গেন্দা ফুল’ শিরোনামের গানটি লেখেন। সম্প্রতি বাদশাহর মিউজিক ভিডিওতে ওই গানের কয়েকটি লাইন ব্যবহার করা হয়। এর পর থেকেই বিতর্কের শুরু। ১৯৭২ সালে গানটি লেখেন রতন কাহার।

গত বুধবার র‍্যাপার বাদশাহ এক বিবৃতিতে বলেন, রতন কাহারের সঙ্গে তিনি বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন, তবে ভারতে চলমান লকডাউনের কারণে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

গত ২৬ মার্চ মুক্তি পাওয়া গানটি কতটা সাড়া ফেলেছে, তা ইউটিউবের ভিউ-সংখ্যা বোঝা যায়। সনি মিউজিক ইন্ডিয়ার ব্যানারে মুক্তি পাওয়া গানটির সংগীত আয়োজন করেছেন আদিত্য দেব। গানের কথা ও সুর করেছেন বাদশাহ। দোতারা বাজিয়েছেন তাপস রায়।