ভালোবাসার দিনে দেখতে পারেন এই ১০ রোমান্টিক কোরিয়ান সিনেমা

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : টুইটার থেকে নেওয়া

‘ভালোবাসা দিবস’ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ঘরে বসেই উপভোগ করুন রোমান্টিক সিনেমা। বিশেষ করে যারা কর্মজীবী দম্পতি, তাদের জন্য সিনেমার বিকল্প নেই। সারা দিনের কাজ শেষে সঙ্গীকে নিয়ে আর যখন এই যানজটের শহরে বের হতে ইচ্ছা করবে না, তখন তো বটেই। তাই সন্ধ্যাটা উপভোগ করতে পারেন চরম রোমান্টিক ১০টি কোরিয়ান সিনেমার যেকোনোটির মাধ্যমে।

একমাত্র প্রেমের সিনেমাই পারে অভ্যন্তরীণ রোমান্টিকতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে। এক্ষেত্রে কোরিয়ান মুভির কোনো তুলনা নেই। পুরো পৃথিবী আজ কে-পপ বা কে-ড্রামাতে আসক্ত। সিনেমার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই কোরিয়ানরা। অনেকের মতে কোরিয়ানরা সর্বোচ্চ মানের চলচ্চিত্র নির্মাণ করে থাকে। তাদের চলচ্চিত্রগুলিকে আরও অসাধারণ করে তোলে তাদের মৌলিকতা। 

সেরা কয়েকটি রোমান্টিক কোরিয়ান সিনেমা আপনাকে কাঁদিয়ে ছাড়বে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘টুয়েন্থিথ স্যাঞ্চুরি গার্ল’ তো রয়েছেই। এ ছাড়া আরও কিছু রোমান্টিক কোরিয়ান সিনেমার নাম আপনাকে আজ জানিয়ে দেব, যা সর্বকালের কালজয়ী।

মাই স্যাসি গার্ল (২০০১)

‘মাই স্যাসি গার্ল’ জুন জি-হিউন এবং চা তায়-হিউন অভিনীত। এই সিনেমার জনপ্রিয়তা টাইটানিকের সঙ্গে তুলনা করার মাত্রায় চলে গিয়েছিল। সিনেমাটি একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের দৈনন্দিন রুটিন নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করা এবং তার মাকে উপেক্ষা করা ছিল যার প্রধান কাজ। একদিন, পাতাল রেলে যাওয়ার সময়, তিনি ঘটনাক্রমে নামহীন স্যাসি মেয়েকে (জুন) দেখেন। এরপর, তাদের আকর্ষণীয় টুইস্ট গল্প দর্শকদের বিনোদন দেয়। 

জানা যায় যে,  দক্ষিণ কোরিয়ায় ১০ সপ্তাহে প্রায় ৪৮ লাখেরও বেশি টিকিট বিক্রি হয় এই সিনেমার।  এটি ২০০১ সালের দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ উপার্জনকারী সিনেমা হয়ে ওঠে। এটি সর্বকালের সেরা কোরিয়ান রোমান্টিক সিনেমাগুলোর মধ্যে একটি।

অলয়েজ (২০১১)

এই সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সো জি-সাব এবং হান হিও-জু ।এটি একটি রোমান্টিক চলচ্চিত্র। নায়কের অতীত এবং একজন সাধারণ মেয়ের গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে। 

দুজনে পুরো সিনেমাটি জুড়ে অনস্ক্রিনে একটি ঝলমলে মিষ্টি রসায়ন গড়ে তুলেছে। দুই তারকার অভিনয় এবং ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর এই মুভির প্লটকে করেছে আরও প্রাণময়।

লাভ-৯১১ (২০১২)

হান হিও-জু অভিনীত আরেকটি  রোমান্টিক চলচ্চিত্র হলো লাভ-৯১১। এটি সর্বকালের সবচেয়ে রোমান্টিক কোরিয়ান চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে একটি বিবেচিত হয়েছে। এই মুভিটি তার সরলতা এবং রোম্যান্সের মাধ্যমে দর্শকদের প্রলুব্ধ করেছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো সিনেমাটি দর্শকদের বিনোদন দিতে সামর্থ্য হয়েছে।

দ্য হ্যান্ডমেইডেন (২০১৬)

হিট নোয়ার ফিল্ম ‘ওল্ডবয়’-এর পরিচালক পার্ক চেন উকের ‘দ্য হ্যান্ডমেইডেন’ একটি মাস্টারপিস। থ্রিলার, আংশিক রোমান্স এবং জাপান-শাসিত কোরিয়ায় গল্প নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে সিনেমাটি। এই চলচ্চিত্রটি দুই মহিলা, লেডি হিডেকো (কিম মিন-হি) এবং সুক-হি (কিম টে-রি) এর প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে। পার্কের এই সিনেমাটিতে রয়েছে লালসা, রাগ, রোমান্স।

ইল মেরে (২০০০)

যদিও ইল মারে বক্স অফিসে সাফল্যের মুখ দেখতে পারেননি, তবুও এটি কোরিয়ান রোম্যান্স মুভি প্রেমীদের জন্য একটি মহাকাব্যিক চলচ্চিত্র। স্কুইড গেম খ্যাত লি জুং-জে এবং মাই স্যাসি গার্ল  খ্যাত জুন জি-হিউন এই চলচ্চিত্রের প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ইল মেরে একটি দুঃখজনক রোমান্টিক চলচ্চিত্র। ফিল্মটি সফলভাবে বিজ্ঞান কল্পকাহিনী। ২০০৬ সালে এই সিনেমার রিমেক, ‘দ্য লেক হাউস’ নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি সিনেমা মুক্তি পায়।

টিউন ইন ফর লাভ (২০১৯)

‘টিউন ইন ফর লাভ’ সিনেমাটি মুক্তিপ্রাপ্ত সেরা কোরিয়ান রোম্যান্স মুভিগুলির মধ্যে একটি। কিম গো-ইউন এবং জুং হে-ইন যথাক্রমে মি-সু এবং হিউন-উ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। মুভিটি দশ বছরের টাইমলাইনে সাজানো হয়েছে। সিনেমার চরিত্রগুলি আপনার চোখ থেকে অশ্রু ঝরাতে বাধ্য করবে।

দ্য ক্লাসিক (২০০৩)

২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটি এখনো সিনেমাপ্রেমীদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়। এই মুভিটি মা এবং মেয়ের প্রেমের গল্পকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। মায়ের পুরানো বাক্সে মেয়ে একটি চিঠি খুঁজে পায়। প্রতিটি চিঠি তার মায়ের প্রেমের গল্প দেখানোর সময় দর্শকদের ফ্ল্যাশব্যাকে নিয়ে যায়। সর্বকালের সেরা রোমান্টিক কোরিয়ান মুভিগুলোর মধ্যে এটি একটি। এই সিনেমার বিখ্যাত বৃষ্টির সিন এখনও তরুণ-তরুণীদের মাঝে প্রিয়।

আই এম এ সাইবোর্গ, বাট দেটস ওকে (২০০৬)

অন্যান্য কোরিয়ান রোমান্স মুভি থেকে এটি একটু আলাদা। সিনেমাটি পার্ক চ্যান-উকের আরেকটি রত্ন। কে-পপ সুপারস্টার রেইন সিনেমাটিতে পার্ক ইল-সান এবং লিম সু-জং অভিনয় করেছেন চা ইয়ং-গুনের চরিত্রে। সিনেমাটির জন্য পার্ক চ্যান-উককে আলফ্রেড বাউয়ার অ্যাওয়ার্ড (২০০৭) দেয়া হয়েছিল। কে-পপ সুপারস্টার রেইনকে সেরা নতুন অভিনেতার পুরস্কার হাতে তুলে দিয়েছিল এই সিনেমাটি।

এ মোমেন্ট টু রিমেম্বার(২০০৪)

আপনি যদি একজন আবেগপ্রবণ ব্যক্তি হন, তবে এখনই দেখে ফেলুন এই সিনেমাটি। নায়ক-নায়িকা তাদের প্রেমের গল্প শুরু করতে বিয়ে করে। কিন্তু প্লট মোড় নেয় যখন নায়িকা আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত হয়। এই সিনেমাটি অবশ্যই আপনার হৃদয় স্পর্শ করবে।

এ ওয়্যারউলফ বয় (২০১২)

একটি ফ্যান্টাসি রোমান্টিক কোরিয়ান চলচ্চিত্র এটি। দুই মেগা কে-ড্রামা অভিনেতা সং জোং-কি এবং পার্ক বো-ইয়ং অভিনয় করেছেন এই চলচ্চিত্রে। এই সিনেমাটি ২০১২ সালে টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সমসাময়িক বিশ্ব সিনেমা বিভাগে মুক্তি পায়। একই বছরে ১৭তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে একটি প্রি-স্ক্রিনিং পায় সিনেমাটি। ‘এ ওয়্যারউলফ বয়’ হল সর্বকালের সেরা কোরিয়ান রোম্যান্স মুভিগুলির মধ্যে একটি।

সূত্র : লাইফস্টাইল এশিয়া