রুবেল আমার আইকন : অনন্ত জলিল
পরিচালক, প্রযোজক, নায়ক ও ব্যবসায়ী এম এ জলিল অনন্ত। সফল ব্যবসায়ী হলেও ২০০৭ সালে নিজের প্রযোজিত ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ সিনেমার মাধ্যমে নায়ক হিসেবে ঢালিউডে যাত্রা শুরু করেন অনন্ত জলিল।
এরপর ‘হৃদয় ভাঙা ঢেউ’, ‘দ্য স্পিড’, ‘মোস্ট ওয়েলকাম’, ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’ ও ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ সিনেমায় জুটিবেঁধে অভিনয় করেন অনন্ত ও তাঁর স্ত্রী আফিয়া নুসরাত বর্ষা। মুক্তির অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ-ইরানের যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘দিন দ্য ডে’।
আগামী দিনে শুধু নিজে বা স্ত্রীকে নিয়ে নয়, অন্য নায়ক-নায়িকাকে নিয়েও কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন অনন্ত জলিল। তিনি জানান, নায়ক রুবেলের ছবি দেখেই চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহ জন্মে তাঁর। রুবেল তাঁর ‘আইকন’।
আজ সোমবার এনটিভি অনলাইনকে অনন্ত জলিল বলেন, ‘আমি ছোটবেলায় অনেকটা শাসনের মধ্যে বড় হয়েছি। যে কারণে সে সময় খুব একটা চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ ছিল না। তবে নায়ক রুবেল ভাইয়ের অ্যাকশনধর্মী ছবিগুলো আমাকে আকর্ষণ করত। উনার ছবি দেখেই মূলত আমি চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করি। তিনি আমার আইকন।’
অনন্ত আরো বলেন, ‘আমি এ পর্যন্ত যত ছবিতে অভিনয় করেছি, তার সবই অ্যাকশন মুভি। রুবেল ভাইয়ের অভিনয় দেখেই মূলত আমি এসব অ্যাকশন মুভিতে নিজেকে নায়ক হিসেবে দাঁড় করিয়েছি। মাঝে ব্যবসায়িক কারণে কিছুটা বিরতি নিয়ে আবারও চলচ্চিত্রে কাজ করছি। ইচ্ছে আছে, এখন থেকে নিয়মিত চলচ্চিত্র নির্মাণ করব। তবে সব ছবিতেই যে আমি ও বর্ষা অভিনয় করব, তা নয়। এখন যাঁরা অভিনয় করছেন, সেসব নায়ক-নায়িকাকে নিয়েও চলচ্চিত্র নির্মাণ করব।
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি অনন্ত জলিল সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে তিনটি এতিমখানা নির্মাণ করেছেন। মিরপুর ১০ নম্বর, বাইতুল আমান হাউজিং ও সাভার মধুমতি মডেল টাউনে আছে এতিমখানাগুলো। এ ছাড়া সাভারের হেমায়েতপুরের ধল্লা গ্রামে সাড়ে ২৮ বিঘার জমি ওপর একটি বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন অনন্ত জলিল। তিনি সাভারের হেমায়েতপুরে অবস্থিত বায়তুশ শাহ জামে মসজিদ নির্মাণকাজেও অবদান রাখেন।