লকডাউনময় ঈদের কথা ভুলবেন না তাঁরা
চলমান লকডাউনের কারণে সবার স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে। এমনকি এটি উৎসব উদযাপনের ধরনেও পরিবর্তন এনেছে। এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরে যেখানে অনেক তারকাই তাঁদের পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করতে পারবেন ভেবে আনন্দিত, তেমনি অনেককেই প্রিয়জনের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। এবারের ঈদ অন্যান্য বছরের ঈদের চেয়ে কীভাবে ভিন্ন আমেজ নিয়ে আসছে, তা ভাগাভাগি করেছন ভারতের কয়েকজন বিনোদন অঙ্গনের তারকা।
হিনা খান
পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো এই বছর সবচেয়ে বেশি স্মরণীয়। বেশ কয়েক বছর পর এ রকম উৎসবের সময়ে আমি তাঁদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। এটি কেবলই বাসায় থাকা, উদযাপন, বাবার কাছ থেকে নানা গল্প শোনা ও বন্ধনের ব্যাপার। এভাবেই এবারের ঈদ বিশেষ হচ্ছে। সেই সঙ্গে আমরা যে বেঁচে আছি, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের কথাও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
মহসিন খান
শুদ্ধতার মাস রমজান। এ বছর প্রথমবারের মতো রমজান ও ঈদ লকডাউনের মধ্যে উদযাপিত হচ্ছে। শুটিং না থাকায় এই বছর রোজা রাখা সহজ হচ্ছে। পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারায় ও মায়ের আদর পাওয়ায় এ বছরের ঈদকে স্মরণে রাখব।
আদা খান
পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধনে জড়াচ্ছি আমরা এবং তাঁদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিচ্ছি। অন্য সময়ের চেয়ে এই লকডাউন আমাদের এই ছোট বিষয়গুলোকে উপলব্ধি করতে সাহায্য করেছে। আমি অনুভব করেছি, জীবনে সুখী হওয়ার জন্য আমাদের খুব সামান্য জিনিস প্রয়োজন। চারদিকে তাকিয়ে দেখলে লক্ষ করবেন, আমাদের অধিকাংশেরই তা আছে। আরেকটি বিষয়, আমি প্রত্যেক ঈদে সালমান খানের সিনেমা দেখার জন্য মুখিয়ে থাকি, এবার তা হচ্ছে না।
ইকবাল খান
ঈদের নামাজের জন্য আমি মসজিদে যেতে পারব না, এ জন্য এবারের ঈদকে আমি মনে রাখব। মানুষের প্রতিযোগিতার মনোভাবে স্রষ্টা কতটা হতাশ, তা দেখানো হচ্ছে। এই ঈদ আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে, এখন থেকে আমাদের বদলাতে হবে এবং জীবন ও দুনিয়াকে চিরন্তন ভাবলে চলবে না। আমাদের আরো বেশি ভালোবাসতে হবে, আরো বেশি দান করতে হবে, আরো বেশি করে বাঁচতে হবে ও স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানাতে হবে।
রক্ষণধা খান
এই ঈদে কোনো জাঁকজমক, চটকদার সাজসজ্জা কিছুই নেই। কিন্তু আপনার আশপাশের মানুষই উৎসবকে স্মরণীয় করে তুলবে, যা আপনি অর্থ দিয়ে কিনতে পারবেন না। এই উৎসবের স্মরণীয় দিনগুলো ভেবে উদযাপন করব এবং জীবনের সমস্ত ভালোবাসা ও আনন্দের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাব।
শাহির শেখ
এবারের ঈদে আমার ভালো লাগবে না, কারণ আমি বাড়িতে একেবারেই একা। সাধারণত আমি শুটিংয়ে থাকি এবং জম্মুতে থাকা বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারি না। কিন্তু শুটিং সেটে থাকা বন্ধুদের সঙ্গে অন্তত দেখা হয় এবং একসঙ্গে উদযাপন করি। কিন্তু ভালো দিক দেখতে গেলে, নিজের জন্য বাড়িতে আমি কিছু মিষ্টান্ন তৈরি করব। এটাই এবারের ঈদের স্মরণীয় ব্যাপার হবে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস