শুভ জন্মদিন লুইপা
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জিনিয়া জাফরিন লুইপার জন্মদিন আজ। ঠিক করোনা মহামারির কারণে নয়, ঘটা করে জন্মদিন উদযাপন করেন না তিনি। তবে ভক্তরা থেমে নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীর শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন এ শিল্পী।
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় লুইপার সঙ্গে। সে সময় ঘুমে জড়ানো কণ্ঠ তাঁর। জানান, জন্মদিন খুব একটা উদযাপন করা হয় না। রাতে কেকও কাটেননি। কিন্তু কেন? বলেন, ‘ঠিক করোনা মহামারির কারণে নয়, আসলে কেক কাটা পছন্দ নয় আমার, তাই।’
সারাদিন কীভাবে কাটাবেন? লুইপার উত্তর, ‘সারাদিন ঘুমিয়ে কাটাব।’ রাতে অবশ্য ফেসবুক লাইভ করবেন। ভক্তদের গান শোনাবেন।
শৈশবে মা-বাবার আগ্রহে গান গাওয়া শুরু করেন জিনিয়া জাফরিন লুইপা। ছোটবেলায় রিকশায় ঘুরতে ঘুরতে বাবাকে গান শোনানো। বাড়িতে সবাইকে নিয়ে গান করা। এভাবে গানের জগতে বেড়ে ওঠা লুইপার।
হারানো দিনের গান গাইতে ভালোবাসেন লুইপা। তাঁর কণ্ঠে সেসব গান শুনতে ভালোবাসেন শ্রোতাও। শৈশব থেকে হারানো দিনের গান শুনে বড় হয়েছেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে স্বর্ণালি দিনের গান মনে রাখেন, সে জন্য এ প্রচেষ্টা তাঁর।
২০১০ সালে চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ প্রতিযোগিতার সেরা চারে ছিলেন লুইপা। হারানো দিনের গানের পাশাপাশি গাইছেন মৌলিক গানও। শিগগিরই আরো কিছু মৌলিক গান প্রকাশ হবে তাঁর। ‘লুইপা অফিশিয়াল’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে শোনা যাবে এ শিল্পীর গানগুলো।
বগুড়া শহরে বেড়ে ওঠা লুইপার। আধুনিক গানের পাশাপাশি সোনালি যুগের গানগুলো তাঁকে বেশি অনুপ্রেরণা দেয়। রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, মান্না দে, শ্রেয়া ঘোষালের গান মুগ্ধতার সঙ্গে শোনেন ছোটবেলা থেকে। যা হোক, লুইপার অনেক গান শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। প্রায়ই টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে তাঁকে গানের অনুষ্ঠানে দেখা যায়। গানই ধ্যান-জ্ঞান মিষ্টি কণ্ঠের এ মিষ্টিকন্যার।