শেষ হচ্ছে ৫২ বছরের ‘অভিসার’

Looks like you've blocked notifications!
ভাঙছে অভিসার সিনেমা হল। ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘদিন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে দুরবস্থা চলছে। কমে আসছে সিনেমা হলের সংখ্যা। কমছে নতুন চলচ্চিত্রও। এরই মধ্যে দুঃসংবাদ, অগণিত মানুষের স্মৃতি জড়ানো অভিসার হল ভাঙা হচ্ছে

‘টিকাটুলির মোড়ে একটা হল রয়েছে, হলে নাকি এয়ারকন্ডিশন হয়েছে’ মতিনের গাওয়া এই গানটি একসময় বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। গানটির সুর করেছেন শাহীন কামাল। লিখেছেন মতিন চৌধুরী ও মামুন আকন্দ। নতুন আঙ্গিকে গানটির সংগীতায়োজন করেন ডিজে রাহাত ও মীর মাসুম। ‘ঢাকা অ্যটাক’ চলচ্চিত্রে আইটেম গান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পরে গানটি জনপ্রিয়তা পায়।

১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় অভিসার। ২৬ কাঠা জায়গাজুড়ে অবস্থিত অভিসার সিনেমা হলটি ভেঙে নির্মাণ করা হচ্ছে কমিউনিটি সেন্টার। তবে ছোট পরিসরে একটি সিনেমা হল রাখার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন হলের কর্ণধার সফর আলী ভূঁইয়া।

সফর আলী ভূঁইয়া বলেন, ‘সিনেমা হলটি ভেঙে ফেলা ছাড়া এখন আর কোনো উপায় নেই। বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা লোকসান গুনছি। পকেটের টাকা দিয়ে স্টাফদের বেতন দিতে হয়। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পাঁচতলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করব। এই ভবনে একটি কমিউনিটি সেন্টার থাকবে। পাশাপাশি অন্যান্য তলায় ব্যাংক-বিমা ও সায়েন্টিফিক সরঞ্জাম বিক্রির দোকান ভাড়া দেওয়া হবে।’

ছোট পরিসরে সিনেমা হল থাকবে জানিয়ে সফর আলী বলেন, ‘প্রায় ৫২ বছরের পুরোনো আমাদের এই সিনেমা হল। শুধু ব্যবসা নয়, অনেকটা ভালোবাসা থেকে সিনেমা হলটি টিকিয়ে রেখেছিলাম। এবার ছোট পরিসরে একটি সিনেমা হল রাখব এই ভবনে। দেড়শ আসনের ছোট সিনেমা হল রাখার পরিকল্পনা করেছি। কারণ এক হাজার আসনের অভিসার সিনেমা হলে প্রায় ৪০ জন স্টাফ ও ছয়জন ম্যানেজার কর্মরত ছিলেন। এত মানুষকে বেতন দিয়ে রাখা সম্ভব নয়। হলটি ছোট হলে একজন ম্যানেজার ও ছয়জন স্টাফ রাখলেই চলবে।’