সমানাধিকারের লড়াইয়ে বিভিন্ন সংগঠনকে অনুদান লিওনার্দোর

Looks like you've blocked notifications!
হলিউডের খ্যাতিমান অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে বর্ণবাদ, সমানাধিকারের মতো বিষয়গুলো। বৈষম্যমূলক সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠতে শুরু করেছেন বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারাও। অস্কারজয়ী হলিউডের খ্যাতিমান অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও জানিয়েছেন, সমঅধিকার নিয়ে কাজ করা কয়েকটি সংগঠনকে আর্থিক অনুদান দিচ্ছেন তিনি।

ভারতের সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নালের প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হলিউড’ অভিনেতা লিওনার্দো তাঁর অনুদানের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে তাঁর পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। 

‘আমি শোনা, জানা ও উদ্যোগের প্রতিজ্ঞা করছি। সব সুযোগ-সুবিধা থেকে কৃষ্ণবর্ণের আমেরিকানদের বঞ্চিত করার ইতি টানতে আমি বদ্ধপরিকর,’ টুইটারে লেখেন একাডেমি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী এই অভিনেতা। ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এই সংগঠনগুলোকে সাহায্য করব। আপনারাও কালার অব চেঞ্জ, ফেয়ার ফাইট অ্যাকশন, দ্য নাকপ ও এজি অর্গানাইজেশনকে সাহায্য করতে আমার সঙ্গে এগিয়ে আসুন,’ যোগ করেন লিওনার্দো।

যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনে এরই মধ্যে অনেক তারকা এগিয়ে এসেছেন। এবার তাঁদের সঙ্গে যোগ হলো লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নাম। দেশটিতে পুলিশের নির্মমতার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জনসাধারণ। বিশেষত কৃষ্ণবর্ণের লোকেদের প্রতি পুলিশের অসদাচরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তাঁরা।  

মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে একটি রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করতেন ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েড। গত ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রকাশ্যে রাস্তায় মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরেন জর্জের। এভাবে অন্তত আট মিনিট তাঁকে মাটিতে চেপে ধরে রাখা হয়।

এক প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জর্জ ফ্লয়েড নিশ্বাস না নিতে পেরে কাতরাচ্ছেন এবং বারবার একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাকে বলছেন, ‘আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না।’

এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় মুহূর্তেই। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। প্রথম দিকে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও ধীরে ধীরে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। করোনা মহামারির মধ্যেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। অন্তর্জালে সরব নেটিজেনরা।