সারা দিন শুটিং শেষে বাসায় গেলে কান্না পায় : দিলারা জামান
শিক্ষিকা থেকে অভিনেত্রী হয়েছেন তিনি, কেমন অভিনেত্রী নাম বললেই সেই বিশেষণ আর দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অভিনয়দক্ষতা দিয়ে নিজের সেই শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। তিনিই বাংলাদেশের সিনেপর্দা ও টেলিভিশনের শক্তিমান অভিনেত্রী দিলারা জামান।
১৯৬৬ সালে ‘ত্রিধরা’ নাটক দিয়ে অভিনয় ক্যারিয়ারে শুরু করা দিলারা জামানের আজ (১৯ জুন) জন্মদিন। তবে অভিনেত্রী হওয়ার আগে শিক্ষকতা করতেন তিনি। পড়াতেন শাহীন স্কুলে।
অভিনয়জীবনে দীর্ঘ ৫৫ বছর পার করা দিলারা জামান অভিনয়ের বাইরে মডেলিং করেও চমক দেখান প্রায়ই। বয়সের ছাপ পেছনে ফেলে উঠে আসেন দেশের অন্যতম শীর্ষ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে এনটিভি অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, শুটিং শেষে বাসায় গেলে কান্না পায় তাঁর। দিলারা জামানের সেই ভাষ্যটা এমন, ‘এমনিতে বুড়ো বয়সে মানুষ একটু নস্টালজিক হয়ে যায়, খুব একাকিত্বে ভোগে। তো আমার জীবন এখন একাকী বলা যায়... আমার জীবনসঙ্গী ৫০ বছরের সাথি, উনি চলে গেছেন ছয় বছর প্রায়। আর আমার দুটি কন্যা, ওরা দূরদেশে থাকে। এর চারপাশে সবাইকে নিয়ে থাকা, একটি ছেলে ছোটবেলা থেকে আমার কাছে ছিল, আশিক, ও-ই এখন আমাকে দেখাশোনা করে...। তো একাকী জীবনটা আসলে কষ্টের, আমি আসলে আমার যে পেশা ছিল শিক্ষকতা, তার পর আমি সমাজের নানা রকম কাজকর্ম নিয়ে থাকতাম; তারপর অভিনয় করেছি, সব সময় মানুষের মধ্যে থাকা আমার। সেজন্য এখনকার একাকিত্বটা খুব কষ্টের আর কি। আরও বেশি খারাপ লাগে সব সময় ঘরে একা, কাজের লোকও নাই, একা রান্নাটান্না করে... যখন একা থাকি তখন...।’
দিলারা জামান অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘সকাল সন্ধ্যা’। ১৯৯৩ সালে তিনি মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘চাকা’-য় অভিনয় করেন। তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমণি’।