সৃজিতের সিরিজে বাঁধন, সঙ্গে অঞ্জন দত্ত

Looks like you've blocked notifications!
সৃজিত মুখার্জি, আজমেরী হক বাঁধন ও অঞ্জন দত্ত। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখক নাজিম উদ্দিনের কেন্দ্রীয় মুশকান জুবেরীর চরিত্রে প্রথম পছন্দ ছিল জয়া আহসান। কলকাতার জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জি যখন তাঁর ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ উপন্যাসটি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন, তখনই জানিয়েছিলেন সে কথা।

তবে গেল জুলাইয়ে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছিল, নাজিম উদ্দিনের এই আলোচিত উপন্যাসটি নিয়ে ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করতে যাচ্ছেন সৃজিত। ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘হইচই’-এর ব্যানারে নির্মিত হতে যাওয়া এই সিরিজে অভিনয় করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও মোশাররফ করিম। আর মুশকান জুবেরী হচ্ছেন বাংলাদেশের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরী মণি। এ ছাড়া কলকাতার অনির্বাণ ভট্টাচার্যও থাকছেন ওয়েব সিরিজটিতে।

এরপর ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘হইচই’ তাদের চার বছর পূর্তিতে নতুন ২৫ ওয়েব সিরিজের নাম ঘোষণা করে। সেখানে জানানো হয়, সৃজিত তাদের জন্য নির্মাণ করছেন ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ সিরিজটি।

এমন ঘোষণার পরই সৃজিত মুখার্জি এক টুইট বার্তায় জানান, ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ওয়েব সিরিজে থাকছে না বাংলাদেশের কেউ। টুইটে সৃজিত লিখেছিলেন, ‘হইচই-এর সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। বাংলাদেশের অভিনেতা নিয়ে সেখানে শুট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে করোনার জন্য সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তবে যা-ই হোক, নাজিম উদ্দিনের উপন্যাসের স্বাদ অটুট রাখতে আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’

তবে এবার জানা গেল, সৃজিতের এই ওয়েব সিরিজের কেন্দ্রীয় মুশকান জুবেরীর চরিত্রে অভিনয় করছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। 

কলকাতার বর্তমান পত্রিকার দাবি, এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান-দুর্গাপুর অঞ্চলে শুটিং শুরু হয়েছে। বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করছেন অঞ্জন দত্ত। সিরিজের অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন রাহুল বোস, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অনির্বাণ চক্রবর্তী প্রমুখ।

যদিও এ প্রসঙ্গে মন্তব্য জানতে এনটিভি অনলাইনের পক্ষে আজমেরী হক বাঁধনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি। 

নাজিম উদ্দিনের ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস। বাতিঘর প্রকাশনীর ব্যানারে ২০১৫ সালে প্রকাশ পায় উপন্যাসটি।