স্বামী হিসেবে বলছি না, উপনির্বাচনে সাদিক যোগ্য প্রার্থী : শাবানা
যশোর-৬ কেশবপুর শূন্য আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী শাবানার স্বামী ওয়াহিদ সাদিক। এলাকায় জনসংযোগও শুরু করেছেন। ওয়াহিদ সাদিক সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। শাবানার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এস এস প্রডাকশন থেকে বেশ কিছু চলচ্চিত্র প্রযোজনাও করেছেন।
কেন উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইছেন? এ প্রশ্নের জবাবে এনটিভি অনলাইনকে ওয়াহিদ সাদিক বলেন, ‘আসলে রাজনীতি বা নির্বাচন করার কোনো ইচ্ছে আমার ছিল না। তবে আমার এলাকার মুরব্বিরা আমাকে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন। তা ছাড়া আমাদের এলাকায় এর আগে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা তেমন কোনো কাজ করেননি। যে কারণে এ সময়ে এসেও আমার জন্মভূমি এগিয়ে যায়নি। অনেকটা বাধ্য হয়েই আমাকে নির্বাচনে প্রার্থী হতে হচ্ছে।’
নির্বাচিত হলে এলাকার জন্য কী করবেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে সাদিক বলেন, ‘আমাদের এলাকার বড় সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা। একটু বৃষ্টি হলেই পুরো এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। অথচ একটি বেড়িবাঁধ করে দিলেই এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে। এমন ছোট ছোট কিছু সমস্যা সমাধান দরকার। আমি নির্বাচিত হলে এসব সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করব।’
স্বামীকে সমর্থন করে অভিনেত্রী শাবানা বলেন, ‘স্বামী হিসেবে বলছি না, একজন ব্যক্তি হিসেবে সাদিক নির্বাচন করার যোগ্যতা রাখে। সে অনেক সিনসিয়ার (আন্তরিক)। মানুষের সমস্যায় সে সব সময় পাশে দাঁড়ায়। আমি মনে করি, সে অনেক ভালো করবে। এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বিভিন্ন সময় প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে বলেছেন। কিন্তু আমি সন্তানদের সময় দিতে চাই। এ ছাড়া কেশবপুর আমার শ্বশুরবাড়ি। এখান থেকে প্রার্থী হলে আমার স্বামীই হবেন। আমি তাঁর জন্য সবার সমর্থন প্রার্থনা করছি।’
১৯৭৩ সালে ওয়াহিদ সাদিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শাবানা। ওয়াহিদ সাদিক সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। পরে শাবানার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এস এস প্রডাকশনসের দেখাশোনা করতেন সাদিক। ১৯৯৭ সালে শাবানা হঠাৎ চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে বিদায় নেন এবং ২০০০ সালে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। শাবানা-সাদিক দম্পতির দুই মেয়ে সুমি ও ঊর্মি এবং এক ছেলে নাহিন। এখন তাঁরা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।