১২ বছর পর সেই রুবিনা ও আজহার কেমন আছে?
ব্লকবাস্টার ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’ ছবির মুক্তির ১২ বছর পূর্ণ হয়েছে। মুক্তির বছরে অধিকাংশ পুরস্কার অর্জন করতে সক্ষম ছবিটি ‘বিস্ময়কর’ আখ্যা পায়। ছবিটির বিষয়বস্তু ভারতের জনগণের সঙ্গে বেশ সম্পৃক্ত। এমনকি এটি বিশ্বব্যাপী সাফল্য অর্জন করে।
ভারতের বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বলিউড বাবলের প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই ছবিতে লতিকা ও সালাম চরিত্রে অভিনয় করা রুবিনা আলি ও আজহারউদ্দিন মোহাম্মদ ইসমাইল তাঁদের দৃষ্টিনন্দন নৈপুণ্যের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন। বস্তিতে বাস করা ৩০০ শিশু থেকে তাঁদের ওই ছবিতে অভিনয়ের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল।
রুবিনা ও আজহারের সুন্দর জীবনযাপন নিশ্চিত করতে পরিচালক ড্যানি বোয়েল ও প্রযোজক ক্রিস্টিয়ান কোলসন ‘জয় হো’ নামের একটি ট্রাস্ট গঠন করেন। এ ছাড়া তাঁদের জন্য একটি বাড়িও নির্মাণ করেন তাঁরা, যা দুজনের ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর হস্তান্তর করা হবে।
‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’-এর মাধ্যমে তারকাখ্যাতি পাওয়া রুবিনা ও আজহারের বর্তমান অবস্থা দেখে নেওয়া যাক :
রুবিনা আলি
পত্রপত্রিকার খবর অনুযায়ী, রুবিনা বান্দ্রার বাসা ছেড়ে নাল্লাসাপাড়ায় তাঁর মায়ের সঙ্গে বসবাস করা শুরু করেন। এক সাক্ষাৎকারে রুবিনা জানান, বান্দ্রার যে ফ্ল্যাটে বাবা, সৎমা ও তাঁদের পাঁচ সন্তানকে নিয়ে বাস করেন, সেটি তিনি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। তবে বাধ্যগত কন্যা হিসেবে তিনি চাননি তাঁর যক্ষ্মায় আক্রান্ত বাবা গৃহহীন হয়ে পড়ুক। মুম্বাই মিররের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানানো হয় প্রতিবেদনে।
যক্ষ্মায় গত বছরের জানুয়ারিতে মারা যান রুবিনার বাবা। রুবিনা এখন বিএ পড়ছেন, পাশাপাশি ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করছেন।
আজহারউদ্দিন
কিছুদিন আগে মুম্বাই মিরর এক প্রতিবেদনে জানায়, আজহার তাঁকে ট্রাস্টের মাধ্যমে দেওয়া সান্তাক্রুজের ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে দেন এবং নওপাড়ার বস্তিতে তাঁর ঘরে ফিরে যান। তবে বস্তিতে ফেরার পর সেখানে আর খাপ খাওয়াতে পারেননি তিনি। পরে মায়ের সঙ্গে নিজ গ্রামে চলে যান।
আজহার জানান, আর্থিক সংকটের কারণে তাঁকে বাড়ি বিক্রি করতে হয়েছে। আজহারের মা জানান, আজহার ভুল পথে হেঁটে মাশুল দিয়েছে, এমনকি পড়াশোনা বন্ধ করে ব্যবসা শুরু করলেও তা বেশি দিন টেকেনি। এ ছাড়া আজহার খারাপ সাহচর্যের খপ্পরে পড়ে এবং মাদক নেওয়া শুরু করে।