‘যযাতি’ নিয়ে কলকাতায় ‘সময়’
‘শেষ সংলাপ’-এর পর আরো একটি নাটকের আন্তর্জাতিক উদ্বোধনী মঞ্চায়ন করতে যাচ্ছে ঢাকার অন্যতম নাট্যদল ‘সময়’। ভারতের কলকাতায় আয়োজিত ১৮তম ‘গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব’-এ এবার ‘সময়’ পরিবেশন করবে তাদের ৩০তম প্রযোজনা ‘যযাতি’। উৎসবটিতে যোগ দিতে ২৫ সদস্যের একটি দল আজ বুধবার কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার কলকাতার একাডেমি অব ফাইন আর্টস মঞ্চে ‘যযাতি’ নাটকটির প্রদর্শনী হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাটকটির নির্দেশক ও দলপ্রধান আকতারুজ্জামান বলেন, ‘এরই মধ্যে শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে ঢাকায় যযাতির দুটি কারিগরি মঞ্চায়ন হয়েছে। সেই অর্থে যযাতির প্রথম ও আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী হচ্ছে কলকাতায়। নতুন বছরে ঢাকার মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে যযাতির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে।’
প্রখ্যাত নাট্যকার গিরিশ কারনাডের ‘যযাতি’ নাটকটির ভাষান্তর করেছেন সলিল চৌধুরী এবং নির্দেশনা দিয়েছেন আকতারুজ্জামান। পঙ্কজ নিনাদের মঞ্চ পরিকল্পনায় নাটকটির আবহসংগীত পরিকল্পনা করেছেন ইউসুফ হাসান অর্ক। পোশাক পরিকল্পনা করেছেন মানসুরা আক্তার লাভলী এবং আলোক পরিকল্পনা করেছেন আলমগীর হোসেন। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফখরুল ইসলাম, রুমা, মানসুরা আক্তার লাভলী, আবদুল্লাহেল বারী, সুনীতা বড়ুয়া ও ইশরাত নিগার লাজ।
আকতারুজ্জামান আরো বলেন, ‘যযাতি আমাদের অজ্ঞাত অতীতের একটি খণ্ড কাহিনী। অতীতের দর্শনেচ্ছু সেই পর্যটক, যিনি পথ ভুলে এক অজ্ঞাত সংস্কৃতির সমাধিক্ষেত্রে এসে পড়েছেন। বর্তমানের শ্রবণ ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে বিগত কালের প্রতিধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন। আমরা যেন স্বপ্নজীবী নদীর কিনারায় বসে নদীর জলে বিচিত্র লীলা নিরীক্ষণ করছি। নদীপ্রবাহের এই অপবর্তন ও পরাবর্তন দৃষ্টিরই পরিণাম। এই সবকিছুকেই সত্যরূপে স্বীকার করার মধ্যেই রয়েছে আনন্দ, রসানুভূতি। তারপরও নদীর তলদেশকে যথাযথভাবে দেখতে চাইলে প্রয়োজন আপন করার প্রতিবিম্বন। সেই সত্যের প্রকাশই জীবন। যে জীবন এখানে দেখা যায়, তা পৌরাণিক তথা নাটক।’