এবার ৭৫-এ পা দিলাম : আতাউর রহমান

Looks like you've blocked notifications!
জন্মদিনের প্রথম প্রহরে সস্ত্রীক কেক কাটছেন আতাউর রহমান। ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশের মঞ্চনাটকের জগতে আতাউর রহমান এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি একাধারে নির্দেশক, নাট্যকার ও অভিনেতা। ভালো আবৃত্তিও করতে পারেন। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন একুশে পদক, পেয়েছেন দেশি ও বিদেশি অনেক পুরস্কার। আজ তাঁর ৭৪তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে এনটিভি অনলাইনের পক্ষ থেকে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এই শুভেচ্ছা জানানোর ফাঁকে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।  

জন্মদিনের স্মৃতি
ছোটবেলার জন্মদিনের মজার কোনো স্মৃতি আমার মনে নেই। তখনকার দিনে জন্মদিন এমন মজা করে হতো না। তবে ঢাকায় জন্মদিনের কিছু স্মৃতি আছে। জন্মদিনে রাত করে বাড়ি ফিরতাম ছোট একটা কেক নিয়ে। তারপর বাচ্চাদের নিয়ে ১২:০১ মিনিটে কেক কাটতাম।

৭৪তম জন্মদিন চলে গেল, এবার ৭৫-এ পা দিলাম। এবার জন্মদিনে আমার প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি বেশি। কেননা আমি জাতীয়-আন্তর্জাতিক পুরস্কারসহ অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আর প্রিয় স্বজনদের ভালোবাসায় এ জীবন পার করছি। 

জীবনের কাছে প্রত্যাশা
মূলত আমি জীবনের কাছে বেশি প্রত্যাশা করি না। আমি মনে করি যখন যার যা প্রাপ্য, তখন সে সেটা পেয়ে যাবে। এখন লেখালেখি করি, কবিতা লিখি। আর ‘বিচিত্র’ নামক প্রবন্ধ প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। আমার আত্মজীবনী প্রকাশের অপেক্ষায়। মূলত আমার জীবনের তিনটি অংশ চট্টগ্রাম, নোয়াখালী আর ঢাকাকে নিয়ে লেখা হয়েছে। এসব জায়গায় জীবনের অনেকটা সময় পার করেছি। সিনেমা, পশুপাখি আর প্রকৃতি দেখে সময় কেটে যায় আমার। মূলত আমি মানুষের জীবনটাই দেখি। আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘুরেছি। ঘুরতে আমার ভালো লাগে।  

জন্মদিনের আয়োজন
আজ আমার জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রোগ্রাম হচ্ছে। এ ছাড়া পালাকার দলের পরিবেশনায় ছোট একটা অনুষ্ঠান আছে। যেখানে যাত্রাকার  মিলন কান্তি দের কণ্ঠে আমি আবৃত্তি শুনব কাজী নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার। আমি আশাবাদী মানুষ, আমি আশা করি নাটকের বিস্ফোরণ যেন হয়। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলগুলোতে পাঠ্যক্রমে নাটক আনা দরকার। আর এ জন্য সরকারের সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ।

তারুণ্যের প্রতি
তরুণদের ব্যাপারে আমি আশাবাদী । কারণ তরুণরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে সমগ্র বিশ্ব এখন তরুণদের করতলে। তরুণরাই আগামীদিনের নেতা।

প্রত্যাশা
আমি চাই আগামীর বাংলাদেশে কোনো সাম্প্রদায়িকতার বীজ থাকবে না। মূলত আমি আশা করি, এ দেশে কোনো বিভাজন থাকবে না। এখানে যেন ধনী-গরিব বৈষম্য না থাকে, এটাই আমার আগামীর বাংলাদেশের কাছে প্রত্যাশা।