‘হুমায়ূন স্যারকে দেওয়া কথা সারাজীবন রাখব’

Looks like you've blocked notifications!

দেশের কিংবদন্তি লেখক  হুমায়ূন আহমেদের পঞ্চম  মৃত্যুবার্ষিকী আজ। অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদের পরিবারের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল কাজের সূত্রেই। হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত একাধিক নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তানিয়া ও তাঁর স্বামী, গায়ক এস আই টুটুল। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সাহিত্যিক ও নির্মাতার মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে নিয়ে এনটিভি অনলাইনের কাছে স্মৃতিচারণা করেছেন তানিয়া আহমেদ।  

এনটিভি অনলাইন : আপনার আজ বিবাহবাষির্কী। গেল পাঁচ বছর ধরে বিশেষ এই দিনটি পালন না করার পিছনে কি হুমায়ূন আহমেদ রয়েছেন?

তানিয়া আহমেদ : এটা ঠিক।  হুমায়ূন স্যার চলে যাওয়ার পর আমি ও টুটুল কেউই আর এই দিনটি পালন করি না। কোনো আনন্দ উৎসবও করা হয় না। স্যার আমাদের পুরো পরিবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।  স্যারের চলে যাওয়া এখনো আমরা মানতে পারিনি।  এখনো মনে হয়, স্যার কোথাও চলে যাননি, স্যার আমাদের আশপাশে কোথাও আছেন। থাকবেন অনন্তকাল ধরে।

এনটিভি অনলাইন :  হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে তো  আপনার  অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে....

তানিয়া আহমেদ : অনেক আনন্দের স্মৃতি আছে। স্যার সবসময় আমাদের গাইড করতেন। সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম ও মানুষের জীবনবোধ বোঝার অদ্ভূত  ক্ষমতা আল্লাহ্ তাঁকে দিয়েছেন।  আমি মাঝেমধ্যে তাঁর সব বিষয়ে পারদর্শিতা দেখে বিস্মিত হতাম। তাঁর সঙ্গে কথায় ও যুক্তি-তর্কে কেউ জয়ী হতে পারতেন না।

এনটিভি অনলাইন :  আপনাদের তো একটা ক্লাবও ছিল….

তানিয়া আহমেদ :  হ্যাঁ। ক্লাবের নাম ছিল ‘ওল্ড ফুলস ক্লাব’।  স্যারের  সারপ্রাইজ দেওয়ার ক্ষমতা প্রখর ছিল। আমাদের এই ক্লাবকে ঘিরে অনেক মজার কাহিনী আছে। ক্লাবের সদস্যরা মিলে প্রায়ই আমরা আড্ডা দিতাম। স্যার, প্রতিনিয়ত আমাদের চমকে দিতেন কিন্তু  কোনো বারও আমরা অনুমান করতে পারতাম না যে ‘তিনি আসলে ঠিক কী করবেন’। আমার জন্মদিনে তিনি অনেকভাবে সারপ্রাইজ দিতেন।

এনটিভি অনলাইন : হুমায়ূন আহমেদ  চলে যাওয়ার শেষ দিনগুলোতে আপনার সঙ্গে তাঁর কি কথা হয়েছে?

এনটিভি অনলাইন : স্যার, আমাকে মাঝেমধ্যে বলতেন, ‘আমি হয়তো আর বেশিদিন থাকব না। তুমি শাওনের পাশে থেক। মানসিকভাবে শাওনকে সাপোর্ট দিও।’ আমিও স্যারকে কথা দিয়েছি। শাওনের পাশে  আমি আছি, সারাজীবন থাকব। হুমায়ূন স্যারকে দেওয়া কথাটি  আমি সারাজীবন রাখব।