স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’র ৩৮তম মঞ্চায়ন

Looks like you've blocked notifications!

নাট্যসংগঠন স্বপ্নদলের দর্শকনন্দিত ও আলোচিত প্রযোজনা ‘চিত্রাঙ্গদা’র ৩৮তম মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ জুলাই, ২০১৫ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিরায়ত সৃষ্টি ‘চিত্রাঙ্গদা’র গবেষণাগার নাট্যরীতিতে নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন।

রবীন্দ্রনাথ মহাভারতের চিত্রাঙ্গদা-উপাখ্যান অবলম্বনে কিছু রূপান্তরসহ দুই ভিন্ন সময়ে এবং দুটি আলাদা আঙ্গিকে ‘চিত্রাঙ্গদা’ রচনা করেছিলেন। ১৮৯২-এ তাঁর ৩১ বছর বয়সে রচনা করেন কাব্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’ এবং এর প্রায় ৪৪ বছর পরে ১৯৩৬-এ ৭৫ বছর বয়সে রচনা করেন নৃত্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’। নৃত্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’ সুপরিচিত এবং এটি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন দলের মাধ্যমে অসংখ্যবার মঞ্চায়িত হয়েছে। অন্যদিকে, স্বপ্নদলের প্রযোজনাটি নির্মিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’ পাণ্ডুলিপিটি অবলম্বনে।

আধুনিক সময়ে মানবের অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রতিচ্ছবি রূপে রচিত কাব্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’-র নাট্যকাহিনীতে উপস্থাপিত হয়-মহাবীর অর্জুন সত্যপালনের জন্য একযুগ ব্রহ্মাচার্যব্রত গ্রহণ করে মণিপুর বনে এসেছেন।

মণিপুর-রাজকন্যা চিত্রাঙ্গদা অর্জুনের প্রেমে উদ্বেলিত হলেও অর্জুন রূপহীন চিত্রাঙ্গদাকে প্রত্যাখ্যান করেন। অপমানিত চিত্রাঙ্গদা প্রেমের দেবতা মদন এবং যৌবনের দেবতা বসন্তের সহায়তায় এক বছরের জন্য অপরূপ সুন্দরীতে রূপান্তরিত হন। অর্জুন এবার যথারীতি চিত্রাঙ্গদার প্রেমে পড়েন। কিন্তু অর্জুনকে লাভ করেও চিত্রাঙ্গদার অন্তর দ্বন্দ্বে ক্ষত-বিক্ষত হতে থাকে-অর্জুন প্রকৃতপক্ষে কাকে ভালোবাসেন, চিত্রাঙ্গদার বাহ্যিক রূপ নাকি তার প্রকৃত অস্তিত্বকে? এভাবে ‘চিত্রাঙ্গদা’ পৌরাণিক কাহিনীর আড়ালে যেন এ কালেরই নরনারীর মনোদৈহিক সম্পর্কের টানাপড়েন এবং পাশাপাশি পারস্পরিক সম্মানাবস্থানের প্রেরণারূপে উপস্থাপিত হয়। একই সঙ্গে এতে প্রকাশিত হয় সেই অনিবার্য সত্য-বাহ্যিক রূপের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান নারী-পুরুষের চারিত্রিক শক্তি এবং এতেই প্রকৃতপক্ষে আত্মার স্থায়ী পরিচয়!

‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনার গ্রন্থিকরা হলেন সোনালী, মিতা, মোস্তাফিজ, শ্যামল, শিশির, সামাদ, মাধুরী, জেবু, নাবলু,  তানভীর, রিমু, শুভ, অমর, আলী, জুয়েনা, বিপুল, সাইদ, তীর্থ, জুঁই, মৈত্রী প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনাটি ২০১১-এ সার্ধশত রবীন্দ্রবর্ষ উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুদানে নির্মিত হয়।