ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব ২০১৭

দ্বিতীয় দিনে দর্শক মাতালো ‘নুরান সিস্টার্স’

Looks like you've blocked notifications!

তৃতীয় ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। রাজধানীর  বনানীর আর্মি স্টেডিয়াম আয়োজিত উৎসবটির শেষ দিন আজ। উৎসবের প্রথম দিনে তিব্বতের তেনজিন চোয়েগাল ও তাঁর দলের গান শুনে দর্শক মেতেছিল।

গতকাল শুক্রবার উৎসবের দ্বিতীয় দিনেও বিভিন্ন দেশি-বিদেশি শিল্পীদের পরিবেশনায় মুগ্ধ হয়েছে দর্শক। বিশেষ করে ভারতের পাঞ্জাবের ‘নুরান সিস্টার্স’-এর পারফর্মন্যান্স দর্শক খুব উপভোগ করেছে। সুফি-কাওয়ালি ঘরানোর গান গেয়ে নুরান সিস্টার্সের দুই বোন জ্যোতি নুরান ও সুলতান নুরান সবার মন জয় করে নিয়েছিলেন। তাঁরা গেয়েছেন, ‘জো তেরি ফাকির হোতিহে’, ‘যুগ্ল পাটাকা গুড্ডি’ ও ‘দমাদম মাস্ত কালান্ডার, ‘কাসম খোদা দি তুমে পেয়ার লাগদি’ ইত্যাদি। রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত তাঁরা দুজন সংগীত পরিবেশন করেন।

অন্যদিকে, দেশীয় বাউল পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম আরিফ দেওয়ানের গানেও বিমোহিত হয়েছে উপস্থিত দর্শক। প্রায় ৫০০ গানের গীতিকার ও সুরকার আরিফ দেওয়ান। গতকাল তাঁর গাওয়া ‘বাঁশিটি কে বাজালো মধুর কুঞ্জবনে’ গানটি দর্শক  দারুণ উপভোগ  করে। এ ছাড়া পালাগান গেয়েও দর্শককে মুগ্ধ করেছেন গুণী এই শিল্পী।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে দর্শককে মুগ্ধ করেছেন পাকিস্তানের ব্যান্ড দল ‘মিকাল হাসান’, নেপালের ‘কুটুম্বা’ ও বাংলাদেশের শাহজাহান মুন্সি প্রমুখ।

শাহজাহান মুন্সীর গাওয়া ‘ওহে সুন্দর তাইগো সুন্দর’,‘তুমি আছ দয়াল আমার’ ও ‘একবার এসে প্রাণ গো বন্ধু দেখা দাও মোরে’ গানগুলো দর্শক দারুণ উপভোগ করেছে ।

তৃতীয়বারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় লোকসংগীত উৎসবে বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ব্রাজিল,মালি, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও  ফ্রান্সের প্রায় ১৪০ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করছেন। আজ উৎসবের শেষ দিনেও থাকবে  দেশি-বিদেশি শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা।