তথ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান বয়কট শিল্পী ও কলাকুশলীদের

Looks like you've blocked notifications!

আজ জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস। ২০১২ সাল থেকেই দিবসটি এফডিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে পালন করে আসছে চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীরা। তবে এ বছর আর সেটি হলো না। এফডিসির পক্ষ থেকে দিবস উদযাপনে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। কিন্তু সেখানে উপস্থিত হননি চলচ্চিত্র পরিবারের কেউ।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বিএফডিসিতে দিবসটি উপলক্ষে উপস্থিত হন এবং বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে এফডিসির ভেতরেই ছোট একটি র‍্যালি করেন। এ সময় বিএফডিসির কর্মকর্তা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তারানা হালিম  ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার শিল্পী ও কলাকুশলীরা। ১০টার পরপর এফডিসি থেকে চলে যান তথ্যমন্ত্রী। তাঁর অবস্থানকালে চলচ্চিত্র পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ থেকে আমরা তথ্যমন্ত্রীকে বয়কট করা শুরু করলাম। হাসানুল হক ইনু সাহেব যেখানে যে অনুষ্ঠানে যাবেন, আমরা চলচ্চিত্রকর্মীরা সেই অনুষ্ঠানে যাব না। তিনি যে অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে যাবেন, সেই অনুষ্ঠানে আমরা কেউ দাওয়াতও গ্রহণ করব না।’  

এর আগে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর পদত্যাগের দাবি তোলে চলচ্চিত্রকর্মীদের সমন্বিত সংগঠন ‘চলচ্চিত্র স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি’। গত ২৮ মার্চ বুধবার এফডিসিতে এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এই কমিটির সভাপতি অভিনেতা ফারুক।

তথ্যমন্ত্রীকে বয়কট ও পদত্যাগ চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান তখন বলেছিলেন, ‘এর আগে জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে নায়করাজ রাজ্জাককে সভাপতি করা হতো। তিনি যেহেতু প্রয়াত হয়েছেন, সে কারণে সর্বসম্মতিক্রমে চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি পুরুষ সৈয়দ হাসান ইমামকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি মিটিং হয়েছে। কিন্তু হুট করেই মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) বিএফডিসির এমডি আমীর হোসেন মোবাইলে কল দিয়ে সৈয়দ হাসান ইমামকে এই পদে না থাকার জন্য উপর মহলের আদেশ আছে বলে জানান। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এছাড়া তিনি আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য কিছু করছেন না। এমনকি তিনি ভিনদেশি চলচ্চিত্রকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, সেন্সর বোর্ডকে তিনি (মন্ত্রী) চাপ দিয়ে কলকাতার ছবি সেন্সর করিয়ে নিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা এমনিতেই ক্ষুব্ধ ছিলাম, এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’

গত বুধবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা আলমগীর, প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর রশিদ চৌধুরী, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাইমন সাদিক, নৃত্যশিল্পী সমিতির সভাপতি মাসুম বাবুল, নির্মাতা এস এ হক অলীকসহ আরো অনেকে। সভা সঞ্চালনা করেন নির্মাতা মোহাম্মদ হোসেন জেমী।