শুটিং সন্দেশ
তারকাখচিত ‘আমার বেলা যে যায়’
রুপালি পর্দায় পূর্ণিমা না ফিরলেও নাটকে তিনি ফিরেছেন। দীর্ঘ দুই বছর পর আরিফ খান পরিচালিত ‘আমার বেলা যে যায়’ শিরোনামে টেলিফিল্মের শুটিং করছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার উত্তরার স্ক্রিপ্ট শুটিং হাউসে বিকেলে প্রবেশ করে দেখি পূর্ণিমা, মাহফুজ, বরেণ্য অভিনেতা আফজাল হোসেন ও সুবর্ণা মুস্তাফাকে। প্রথমে দেখে মনে হয়নি, এটা নাটকের কোনো সেট। সবার মধ্যে এত ভালো সম্পর্ক, দেখে মনে হয়েছে তাঁরা কোনো এক বাড়িতে বসে গল্প করছেন। পরিচালক আরিফ খান শটের জন্য লাইট-ক্যামেরা তৈরি করতেই মনে হলো, এটা তো সত্যি শুটিং হাউস। নাটকের মধ্যে যেন আর এক নাটক ঘটল। হঠাৎ সেটে পুলিশ এসে উপস্থিত। মাহফুজ আহমেদ পুলিশকে দেখে বললেন, ‘আপনারা কি রিয়েল নাকি নকল?’পুলিশ অফিসার সুমন শিকদার হেসে বললেন, ‘আমরা রিয়েল, নিচে আমার গাড়ি আছে। এই পথে যাচ্ছিলাম; ভাবলাম, স্পটে আসি। মাহফুজ ভাই, আমি আপনার একজন ভক্ত, চলেন একটা ছবি তুলি।’ মাহফুজ আহমেদ হাসিমুখে ছবি তুললেন তাঁর পুলিশ ভক্তের সঙ্গে।
এর পর শট দিতে তিনি চলে গেলেন সেটে। দৃশ্যটা এ রকম : গাড়িতে করে পূর্ণিমা ও মাহফুজ আহমেদ বাইরে ঘুরতে যাবেন। গাড়ি প্রস্তুত। মাহফুজ আহমেদ ও পূর্ণিমা পাশাপাশি বসলেন। গাড়ি চলতে শুরু করল। এভাবে দৃশ্যটি ক্যামেরায় ধারণ করলেন পরিচালক আরিফ খান। বিকেলে ব্রেকের পর সুবর্ণা মুস্তাফা, আফজাল হোসেন, পূর্ণিমা ও মাহফুজ আহমেদকে একফ্রেমে ধরে রাখার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠলেন ফটোসাংবাদিকরা। ছবি তোলার এক ফাঁকে সুবর্ণা মুস্তাফা হেসে বললেন, ‘এত বছর হলো, আমি এখনো স্টিল ছবি তুলতে কমফোর্ট না।’ ছবি তোলা শেষে ইউনিটের সবাই তাঁদের প্রিয় তারকাদের সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে উঠলেন। পরিচালক বললেন, ‘এখন ছবি তোলা পর্ব শেষ, আমরা এখন শুটিং শুরু করব।’ সবাই শটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেন। তখন বাজে রাত ৯টা। পরিচালক ক্যামেরা তৈরির ফাঁকে বললেন, ‘নাটকটি আসছে ঈদে এনটিভিতে প্রচারিত হবে। নাটকের চিত্রনাট্য লিখেছেন বদরুল আনাম সৌদ। নাটকের গল্প অসাধারণ। ভালো শিল্পীরা অভিনয় করছেন। কাজটা করে অনেক আরাম লাগছে।’
নাটকের শুটিংয়ে তারকার এই মেলা দেখে আমাদেরও চোখে আরাম লাগছিল। তবে ঘড়ির কাঁটা খুব জোরে ঘুরছিল, তাই বিদায় নিতে হলো তারকাদের কাছ থেকে। ততক্ষণে দিন গড়িয়ে রাত, আকাশেও ফুটতে শুরু করেছে তারা।