রাজীবের পরিবারের দায়িত্ব নিতে চান অনন্ত জলিল
নায়ক অনন্ত জলিলের জন্মদিন ছিল গতকাল মঙ্গলবার, ১৭এপ্রিল। নিজের বিশেষ এই দিনটি কাটিয়েছেন তিনি মক্কায়। সেখান থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রাজীব হোসেনকে নিয়ে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি গতকাল রাতে।
অনন্ত জলিল লিখেছেন, ‘বন্ধুগণ, আসসালামু আলাইকুম। আজকের দিনে আল্লাহ্তায়ালা তাঁর সুন্দর ধরণি আর সুন্দর সুন্দর সৃষ্টির মাঝে আমাকে পাঠিয়েছেন, আজ আমার জন্মদিন , তাই শুকুর আলহামদুলিল্লাহ্। রাব্বুল আলামিনের নিকট আমি কৃতজ্ঞ, এ কারণে যে এমন আনন্দের দিনে তিনি আমাকে সপরিবারে মক্কায় অবস্থান করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তবে মন খারাপ আরেক কারণে, সকালে দেশের অধিক জনপ্রিয় দৈনিক খবরের কাগজ প্রথম আলোর একটি সংবাদ দেখে। কিছু দিন আগে বাস দুর্ঘটনায় রাজীব নামে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী তাঁর হাত হারিয়েছিলেন। এবং আজ তিনি পৃথিবী হতে বিদায় নিয়েছেন। যা আমাকে বেশ মর্মাহত করেছে।’
রাজীবের বাবা-মা অনেক আগেই মারা গেছেন। তাঁর পরিবারে রয়েছেন দুই ভাই। সেই দুই ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে চান বলে জানিয়েছেন অনন্ত জলিল। তিনি বলেন,‘বাবা-মা হারা এই সন্তান তার ছোট দুই ভাইকে পিতা-মাতার স্নেহ দিয়ে আগলে রেখেছিলেন। কিন্তু রাজীবের অকাল বিদায়ে তার দুই ছোট ভাইয়ের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়েছে। তাই আমার জন্মদিনে আমি চাচ্ছি যে পরিবার হারা এই দুই সন্তানের পড়ালেখার দায়িত্ব নিতে। আশা করি জনপ্রিয় দৈনিক প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আমাকে রাজিবের দুই ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে এবং তাদের খোঁজ পেতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে তাদের ভবিষ্যৎ সুন্দর জীবন-যাপনের জন্য সাহায্য করবেন। খোদা হাফেজ।’
গত ৩ এপ্রিল বিআরটিসির একটি দোতলা বাসের পেছনের দরজায় দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন রাজধানীর মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের (বাণিজ্য) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন (২১ )। তাঁর ডান হাতটি বেরিয়ে ছিল সামান্য বাইরে। হঠাৎ করেই পেছন থেকে একটি বাস বিআরটিসির বাসটিকে ওভারটেক করার জন্য বাঁ দিকে গা ঘেঁষে পড়ে। দুই বাসের প্রবল চাপে রাজীবের হাতটি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর প্রায় ১৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান রাজীব।