পুরস্কার কেলেঙ্কারি
জালিয়াতদের আইনের আওতায় আনার দাবি
‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রবিষয়ক সবচেয়ে বড় পুরস্কার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এই পুরস্কার পাওয়ার জন্য আমাদের শিল্পীরা বছরের পর বছর কাজ করে যান। এই পুরস্কারটি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে প্রদান করেন। অথচ এই পুরস্কার নিয়েও জালিয়াতি করতে হলো? আমরা এই জালিয়াতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’ কথাগুলো বলছিলেন চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্ববায়ক নায়ক ফারুক।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬-এর শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালকের নাম ঘোষিত হওয়ার পর পুরস্কার নিতে অস্বীকৃতি জানান নৃত্য পরিচালক মোহাম্মদ হাবিব। এর কারণ পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘নিয়তি’ ছবিতে তিনি কাজই করেননি। বিষয়টি নিয়ে এনটিভি অনলাইনে খবর প্রকাশ হওয়ার পরপরই আলোচনা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে।
গত শনিবার এই পুরস্কার কেলেঙ্কারি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে এফডিসির ১৮ সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশের চলচ্চিত্র পরিবার। বিএফডিসিতে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে জালিয়াতদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক ফারুক, পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, বদিউড আলম খোকন, জ্যেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুল, চিত্রনায়ক জায়েদ খান, ফটোগ্রাফার জিডি পিন্টু, হাবিব প্রমুখ।
এ সময় ফারুক আরো বলেন, ‘শুধু যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে জালিয়াতি করা হয়েছে তাই নয়, যৌথ প্রযোজনার নামে হয়েছে চরম জালিয়াতি। সেখানে বিদেশি শিল্পী-কলাকুশলীদের দিয়ে কাজ করিয়েছে, কিন্তু সরকারকে ট্যাক্স ফাঁকি দিতে গিয়ে হাবিবের মতো বাংলাদেশি টেকনিশিয়ানদের নাম দিয়েছে। শুধু তাই নয়, আমাদের যৌথ নীতিমালা না মেনে ছবি করে তা নীতির আওতায় আনার জন্য নেওয়া হয়েছে প্রতারণার আশ্রয়। বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু এটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কেউ কোনো কথা বলছেন না। আমরা আশা করব, খুব তাড়াতাড়ি বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রতারকদের আইনের আওতায় আনা হবে।’