শেষ পর্যন্ত এফডিসিতে তৈরি হচ্ছে নতুন মসজিদ
প্রায় এক বছর ঝুলে থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার এফডিসিতে নতুন মসজিদ নির্মাণের অনুমতি পেয়েছে মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশন। নিজেদের অর্থায়নেই তারা এই মসজিদটি গড়ে দিচ্ছে। পুরোনো মসজিদের জায়গাতেই এটি করা হচ্ছে।
নরসিংদীর কৃতি সন্তান থারমেক্স গ্রুপের ব্যাবস্থাপক পরিচালক ও মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান দানবীর জনাব,আব্দুল কাদির মোল্লা নিজস্ব অর্থায়নে মসজিদটি নির্মান করে দিচ্ছেন।খুব তাড়াতাড়ি তিনি ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে মসজিদের কাজ শুরু করবেন।
আবদুল কাদির মোল্লার ঘনিষ্ঠজন অভিনেতা সনি রহমান জানান, এই মসজিদ তৈরির জন্য এফিডিসি বা সরকারের কাছ থেকে কোনো অর্থ নেওয়া হচ্ছে না। কাদির মোল্লার অর্থায়নেই এর কাজ শুরু হবে আগামী মাসে। সনি আরো জানান, ‘কাদের মোল্লা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শতাধিক মসজিদ নির্মাণ করেছেন।’
সনি আরো বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে অনেক লজ্জার মধ্যে ছিলাম। কারণ আমার বাড়ি নরসিংদী জেলায়। সে হিসেবে দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা আমার কাছের মানুষ। এফডিসিতে মসজিদের অবস্থা ভালো নয়, যে কারণে আমি চলচ্চিত্র পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মসজিদের জন্য আবেদন করি এবং তিনি তা দিতে রাজি হন। দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাচ্ছিলাম না। তবে গতকাল আমাদের এফডিসি থেকে জানানো হয়, মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পাওয়া গেছে। আগামী মাসে আমরা কাজটি শুরু করতে পারব।’
এফডিসির এমডি আমির হোসেন মসজিদ নির্মাণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অনেকেই মনে করেছে আমি বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা করেছি, আসলে তা নয়, আমাদের সরকারি প্রতিষ্ঠানে কেউ কিছু দান করতে চাইলে সেখানেও কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। নির্দিষ্ট মিটিংয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করে সেখান থেকে অনুমতি নিতে হয়।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘যখন মসজিদটি গড়ে দেওয়ার জন্য থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির সাহেব রাজি হন, তখন আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে বর্তমান মসজিদটি ভাঙ্গার কাজ শুরু করি। এত দিন একটা অস্বস্তি কাজ করছিল। ভাঙার কাজ তো শুরু করেছি, নতুনটা হবে তো? এবার মসজিদের কাজ শুরু করার অনুমতি পাওয়া গেছে। আমি শান্তি পাচ্ছি। দুই কোটি টাকা খরচ করে যে মসজিদটি নির্মাণ করা হবে তা দেখে সবার ভালো লাগবে।’