ঈদে কলকাতার দখলে থাকবে দেশের সিনেমা হল
আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে বড় বাজেটের দুটি ছবি : ‘সুলতান’ ও ‘ভাইজান এলো রে’। দুটি ছবির একটিতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের বিদ্যা সিনহা মিম ও অন্যটিতে শাকিব খান। ছবিগুলোতে বাংলাদেশের শিল্পীরা অভিনয় করলেও এগুলোর প্রযোজক ভারতের। ‘সুলতান’ প্রযোজনা করেছে কলকাতার জিৎস ফিল্ম ওয়ার্ক ও ‘ভাইজান এলো রে’ প্রযোজনা করেছে কলকাতারই এসকে মুভিজ।
বর্তমানে সাফটা চুক্তির মাধ্যমে কলকাতার ছবি মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশে। কিন্তু কলকাতার ছবি দর্শক পছন্দ না করায় এখন কলকাতার ছবিতে যুক্ত করা হচ্ছে বাংলাদেশের শিল্পীদের। কিছুদিন আগে কলকাতার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এস কে মুভিজের প্রযোজনায় শাকিব খান অভিনীত চলচ্চিত্র ‘চালবাজ’ দর্শকপ্রিয়তা পায়। প্রথম সপ্তাহে ১০৫টি সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি পায়। দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্ত হয় আরো ১১টি সিনেমা হল। বর্তমানে দেশের ১১৬টি সিনেমা হলে চলছে শাকিব ও শুভশ্রী অভিনীত ‘চালবাজ’।
‘চালবাজে’র পদ্ধতি অনুসরণ করেই আসছে ঈদে মুক্তি পাবে ‘সুলতান’ ও ‘ভাইজান এলা রে’। ‘সুলতান’ ছবিতে কলকাতার জিতের বিপরীতে অভিনয় করেছেন বিদ্যা সিনহা মিম। বাংলাদেশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া শুরুতে ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করার ঘোষণা দিলেও পরে নতুন নীতিমালার কারণে তারা সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।
অন্যদিকে, ‘ভাইজান এলো রে’ ছবিটি প্রযোজনা করছে কলকাতার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এস কে মুভিজ। ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন শ্রাবন্তী ও পায়েল সরকার।
কলকাতার এ দুটি সিনেমা ঈদে মুক্তি পেলে ঈদে বাংলাদেশের কোনো চলচ্চিত্র সিনেমা হল পাবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহসচিব বদিউল আলম খোকন। এনটিভি অনলাইনকে তিনি বলেন, “আমরা শুনেছি কলকাতার ছবি ‘সুলতান’ ও ‘ভাইজান এলো রে’ ছবি দুটি সাফটা চুক্তির আওতায় আগামী ঈদে বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। যদি এমন হয়, তা হলে বাংলাদেশের যে কয়েকটি সিনেমা ঈদে মুক্তির দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেগুলো আর কোনো সিনেমা হল পাবে না। কারণ, সিনেমা চালানোর জন্য নির্দিষ্ট সিন্ডিকেট রয়েছে। তাদের সঙ্গে চলচ্চিত্র আমদানিকারকদের একটা যোগ রয়েছে। আমি মনে করি, ঈদের মতো উৎসবগুলোতে ভিনদেশি সিনেমা মুক্তি দেওয়া উচিত নয়। এতে করে দেশের চলচ্চিত্রশিল্প হুমকির মুখে পড়বে।”