সিনেমা হল আধুনিকায়ন করতে যাচ্ছে এফডিসি

Looks like you've blocked notifications!

দীর্ঘদিন ধরেই চলচ্চিত্রকর্মীরা আন্দোলন করে আসছেন বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলোকে যেন সরকারি খরচে আধুনিক করা হয়। এ জন্য গত ছয় মাস আগে এফডিসির এমডি আমির হোসেনকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়। এ সময় প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয় ৯৮টি সিনেমা হলে। এখান থেকে বাছাই করে ৬০টির মতো সিনেমা হলকে আধুনিক করা হবে এবং এ জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা চলছে। দ্রুতই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

আমির হোসেন বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগেই আমরা হলগুলোকে ডিজিটাল করার জন্য একটা কমিটি করেছি। এখানে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী ও সিনেমা হলের মালিকদের নিয়ে একটা কমিটি করা হয়। আমরা সবাই মিলে ৯৮টি সিনেমা হলের একটি তালিকা করেছি। ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হতে পারে। আমরা দুদিন আগে বিষয়টি নিয়ে মিটিং করেছি। সেখানে কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সিনেমা হল মালিকদের সাথে মিটিং করে আমরা ফাইলটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাব। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি কাজটি শুরু করতে পারব।’ 

৫০ কোটি টাকায় কয়টি হলের সংস্কার করা সম্ভব জানতে চাইলে আমিন হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ৯৮টি সিনেমা হল তালিকাভুক্ত করেছি। ৫০ কোটি টাকা দিয়ে হয়তো ৬০টির মতো সিনেমা হলে কাজ করা যাবে। আগামী সপ্তাহে আমরা সিনেমা হলের মালিকদের সাথে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেব, কতগুলো সিনেমা হল নেওয়া হবে আর কোন কোন সিনেমা হল এই সুযোগ পাবে। এখন বিষয় হচ্ছে সব সিনেমা হল এক রকম নয়, আমরা চাইবো দেশের প্রথম সারির সিনেমা হলে কাজগুলো করতে , যেখানে দর্শক সমাগম বেশি। তবে এটা প্রাথমিক কাজ, আমরা যদি সুন্দর করে সব কাজ শেষ করতে পারি, এবং সাকসেস হই তাহলে ভবিষ্যতে দেশের সব সিনেমা হলে এই সংস্কারকাজ চলবে।’ 

প্রথম পর্যায়ে কী করা হবে জানতে চাইলে আমির হোসেন বলেন, ‘প্রত্যেকটা সিনেমা হলকে টু-কে প্রজেক্টর দেওয়া হবে, সাথে একই মানের সাউন্ড সিস্টেম। সিনেমা হলের আসন ও পরিবেশ সুন্দর করা হবে। পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে এফডিসিতে সার্ভারের ব্যবস্থা থাকবে। এখান থেকেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সাথে থাকবে ই-টিকেটিং, কোন হলে কত জন সিনেমা দেখছেন তা এফডিসি থেকেই হলমালিক দেখতে পারবেন।’ 

আমির হোসেন আরো বলেন, ‘এখন ডিজিটাল যুগ, ঘরে বসেই মানুষ ট্রেনের টিকেট কিনছে, প্লেনের টিকিট কিনছে। আর সিনেমা হলে কেন হবে না? আমরা সারা দেশে ই-টিকেটিং করব। এতে সিনেমা হলে টাকা চুরির যে অভিযোগ আছে তা আর থাকবে না। আমরা দেখতে পাবো কোন সিনেমা হলে কতজন দর্শক সিনেমা দেখেছেন। এতে সিনেমার প্রযোজক প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাবেন। এক সময় আমাদের পাশের দেশ ভারতের কলকাতায় ছবির অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এখন তারা আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আশা করি আমরাও খুব তাড়াতাড়ি চলচ্চিত্রের সব সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।’