‘বাকি জীবনটা বোধ হয় গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হবে’

Looks like you've blocked notifications!

‘আমি ৬ বছর ধরে গৃহবন্দী ছিলাম বিষয়টি এমন নয়, কারণ আমি এখনও গৃহবন্দী। আমার মনে হচ্ছে এভাবে বাকি জীবনটা কাটাতে হবে। এমন পরিবেশে কোন মানুষ সুস্থ থাকতে পারে না। যে কারণে আমি কোনদিনও সুস্থ হবো না।’ নিজের অসুস্থতা নিয়ে এনটিভি অনলাইনকে এসব কথা বলেন দেশের বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসার দ্বায়িত্ব নিচ্ছেন জানিয়ে বুলবুল বলেন, ‘আমার অসুস্থতার কথা জেনে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।  উনারা আমার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তারা আমাকে জানিয়েছেন আমার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন তারা ডাক্তারের সাথে কথা বলছেন।’

এর আগে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ইমতিয়াজ বুলবুল বলেন, তাঁকে ছয় বছর ধরে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। এ জন্য তাঁর হৃদরোগ ধরা পড়েছে এবং দ্রুত অস্ত্রোপচার করাতে হবে বলেও জানান ইমতিয়াজ বুলবুল। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন : 

“বন্ধুরা, সরকারের নির্দেশেই ২০১২-তে আমাকে যুদ্ধাপরাধীর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় সাক্ষী হিসেবে দাঁড়াতে হয়েছিল। সাহসিকতার সঙ্গে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে হয়েছিল ১৯৭১-এ ঘটে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলখানার গণহত্যার সম্পূর্ণ ইতিহাস। আর ওই গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে আমিও একজন। হত্যা করা হয়েছিল একসঙ্গে ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে।

কিন্তু এই সাক্ষীর কারণে আমার নিরপরাধ ছোট ভাই ‘মিরাজ’ হত্যা হয়ে যাবে, এ আমি কখনোই বিশ্বাস করতে পারিনি। সরকারের কাছে বিচার চেয়েছি, বিচার পাইনি।

আমি এখন ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পাহারায় গৃহবন্দি থাকি একমাত্র সন্তানকে নিয়ে। এ এক অভূতপূর্ব করুণ অধ্যায়।

একটি ঘরে ছয় বছর গৃহবন্দি থাকতে থাকতে আমি আজ উল্লেখযোগ্যভাবে অসুস্থ। আমার হার্টে আটটি ব্লক ধরা পড়েছে, এবং Bypass Surgery ছাড়া চিকিৎসা সম্ভব নয়।

এরই মধ্যে কাউকে না জানিয়ে আমি ইব্রাহিম কার্ডিয়াকে CCU-তে চার দিন ভর্তি ছিলাম।

প্রিয় বন্ধুরা, আগামী ১০ দিনের মধ্যে আমি আমার হার্টের Bypass Surgery করাতে প্রস্তুত রয়েছি।

কোনো সরকারি সাহায্য বা শিল্পী, বন্ধু-বান্ধব সাহায্য আমার দরকার নাই, আমি একাই যথেষ্ট (শুধু অপারেশনের পূর্বে ১০ সেকেন্ডের জন্য বুকের মাঝে বাংলাদেশের পতাকা এবং কোরআন শরিফ রাখতে চাই)।

আর, তোমরা আমার জন্য শুধু দোয়া করবে। কোনো ভয় নাই।

তোমাদের,

আ, ই, বুলবুল।

বি. দ্র. : এই পোস্ট এর আমি কোনো কমেন্ট এর রিপ্লাই দেবা না।”