কান চলচ্চিত্র উৎসব
কার মুকুটে যোগ হবে স্বর্ণ পালক?
উড়বে কি নতুনের চমক? আজ কানের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটা ১৫ মিনিটে ১২ দিনের উৎসবের সমাপনীতে জানা যাবে সেই উত্তর। মাস্টার অব সিরামনিস এদুয়ার্দ বেয়া অবশ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, এবারের আয়োজন নতুনের কেতন ওড়ানোর।
১৪ দেশের ২১ ছবির লড়াইয়ে কোন ছবিটি স্বর্ণপাম জিততে চলেছে, তা নিয়ে চলছে ফিসফাস। কানাকানি। সারা বিশ্বের সিনেমাকে ভালোবাসে এমন মানুষেরা তাকিয়ে আছেন সালে ডেবুসির সমাপনী সন্ধ্যার দিকে। এখানেই পর্দা নামছে চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় আয়োজন কানের ৭১ তম আসরের।
এবারের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারকদের প্রধান কেট ব্ল্যানচেট। অন্য বিচারকরা হলেন ‘টোয়াইলাইট’ তারকা ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট, ফরাসি অভিনেত্রী লেয়া সেদু, পরিচালক আভা ডুভারনে, বুরুন্ডির গায়িকা খাজা নিন, ‘ক্রাউচিং টাইগার হিডেন ড্রাগন’ তারকা চ্যাং চেন, পরিচালক ডেনিস ভিলেন্যুভ, রুশ পরিচালক আন্দ্রে জিভিয়াজিন্তসেভ ও ফরাসি পরিচালক রবার্ট গেদিজিয়ন।
এর মধ্যে পাঁচজনই নারী। তার ওপর হলিউডের নিন্দিত প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টিন কাণ্ডে মি-টু হ্যাশট্যাগ ও টাইমস-আপ আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে এবারের আসরে।
তাই যদি কোন নারী নির্মাতা জিতে যান স্বর্ণপাম, খুব একটা অবাক হবেন না। তিন নারী নির্মাতা নাদিন লাবাকির ‘কেপারনম’, অ্যালিস রোরওয়াচার ‘হ্যাপি অ্যাজ লাজ্জারো’ ও ইভা হুসোর ‘গার্লস অব দ্য সান’ স্বাভাবিকভাবেই আছে আলোচনায়।
পালে দ্যো ফেস্টিভাল অ্যারেনায় এই আলোচনা ছাপিয়ে সাংবাদিকদের কথায় এগিয়ে অবশ্য মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ পরিচালক স্পাইক লি’র ‘ব্ল্যাকক্ল্যান্সম্যান’।
ইরানি দুই ছবির কথা আগেই বলেছি। তবে উদ্বোধনী ছবি কখনো স্বর্ণপামের লড়াইয়ে থাকে না, এমন ঐতিহ্য মানলে বাকী থাকে জাফর পানাহির ‘থ্রি ফেসেস’।
তাই চোখটা এশিয়ায় রাখা যেতেই পারে। লড়াইয়ে যে আছে জাপানের কোরি-ইদার ‘হিরোকাজুর শপ লিফটার্স’ , রাইয়ুসুকি হামাগুচির ‘নেতেমো সেমেতেমো’ আর চীনের জিয়া ঝ্যাংকির ‘অ্যাশ ইজ পিউরেস্ট হোয়াইট’।
রাশিয়ার পরিচালক কিরিলের লেতো আর পোল্যান্ডের কোল্ড ওয়ারকেও মাথায় রাখতে হচ্ছে। আছে ইতালিয়ান পরিচালক মাত্তিও গারোনের ‘ডগম্যান’।
তবে এত সব নতুন নতুন ছবির ভিড়ে ‘পুরনো ঘোড়া’ জ্য লুক গদারের ছবিও কিন্তু আছে এবারের দৌড়ে, নাম ‘দ্য ইমেজ বুক’।
বাংলাদেশে রোববারই জানা যাবে কে জিতলো স্বর্ণপত্র।