প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাল ইমতিয়াজ বুলবুলের পরিবার
‘আব্বা এখন ভালো আছেন। আমাদের সবার সাথে কথা বলছেন। মাঝে মাঝে হাঁটারও চেষ্টা করছেন। ডাক্তার বলেছেন, পুরোপুরি বেড রেস্টে থাকতে হবে। এখন আমরা ডাক্তারের কথামতোই সবকিছু পালন করছি। আব্বা সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। উনি সুস্থ হয়ে আবারও কাজে ফিরতে চান।’ এনটিভি অনলাইনকে কথাগুলো বলেন জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক, গীতিকার ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ছেলে সামির আহমেদ। গত শনিবার বিকেলে ইমতিয়াজ বুলবুলের হৃদযন্ত্রে রিং পরানো হয়। তাঁর হৃদযন্ত্রে আটটি ব্লক ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ছেলে সামির আহমেদ আরো বলেন, ‘গত শনিবার হৃদযন্ত্রে দুটি রিং স্থাপন করা হয়েছে। গতকাল থেকে তিনি আমাদের সাথে কথা বলছেন। এখন কিছুটা হাঁটাহাঁটিও করছেন। কিন্তু কোথায় আছেন, কোন ডাক্তার দেখছেন, তা বলা নিষেধ আছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে সামির বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ, তিনি আমার আব্বার অসুস্থতার কথা জেনে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিলেন। উনারাই চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করেছেন।’
এর আগে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ইমতিয়াজ বুলবুল লিখেছিলেন, তাঁকে ছয় বছর ধরে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। এ জন্য তাঁর হৃদরোগ ধরা পড়েছে এবং দ্রুত অস্ত্রোপচার করাতে হবে বলেও জানান ইমতিয়াজ বুলবুল। তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন :
“বন্ধুরা, সরকারের নির্দেশেই ২০১২-তে আমাকে যুদ্ধাপরাধীর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় সাক্ষী হিসেবে দাঁড়াতে হয়েছিল। সাহসিকতার সঙ্গে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে হয়েছিল ১৯৭১-এ ঘটে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলখানার গণহত্যার সম্পূর্ণ ইতিহাস। আর ওই গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে আমিও একজন। হত্যা করা হয়েছিল একসঙ্গে ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে।
কিন্তু এই সাক্ষীর কারণে আমার নিরপরাধ ছোট ভাই ‘মিরাজ’ হত্যা হয়ে যাবে, এ আমি কখনোই বিশ্বাস করতে পারিনি। সরকারের কাছে বিচার চেয়েছি, বিচার পাইনি।
আমি এখন ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পাহারায় গৃহবন্দি থাকি একমাত্র সন্তানকে নিয়ে। এ এক অভূতপূর্ব করুণ অধ্যায়।
একটি ঘরে ছয় বছর গৃহবন্দি থাকতে থাকতে আমি আজ উল্লেখযোগ্যভাবে অসুস্থ। আমার হার্টে আটটি ব্লক ধরা পড়েছে, এবং Bypass Surgery ছাড়া চিকিৎসা সম্ভব নয়।
এরই মধ্যে কাউকে না জানিয়ে আমি ইব্রাহিম কার্ডিয়াকে CCU-তে চার দিন ভর্তি ছিলাম।
প্রিয় বন্ধুরা, আগামী ১০ দিনের মধ্যে আমি আমার হার্টের Bypass Surgery করাতে প্রস্তুত রয়েছি।
কোনো সরকারি সাহায্য বা শিল্পী, বন্ধু-বান্ধব সাহায্য আমার দরকার নাই, আমি একাই যথেষ্ট (শুধু অপারেশনের পূর্বে ১০ সেকেন্ডের জন্য বুকের মাঝে বাংলাদেশের পতাকা এবং কোরআন শরিফ রাখতে চাই)।
আর, তোমরা আমার জন্য শুধু দোয়া করবে। কোনো ভয় নাই।
তোমাদের,
আ, ই, বুলবুল।
বি. দ্র. : এই পোস্ট-এর আমি কোনো কমেন্ট-এর রিপ্লাই দেবা না।”