জন্মদিনে শুভেচ্ছা না জানালে রাগ করেন ববিতা

Looks like you've blocked notifications!

‘ছোটবেলা থেকেই ববিতা আপা জাঁকজমকভাবে কখনই জন্মদিন পালন করতেন না। সব সময় আমরা পারিবারিকভাবেই দিনটি পালন করেছি। তবে কেউ যদি তাঁর জন্মদিনটি ভুলে যেত, তাঁকে যদি কেউ জন্মদিনের শুভেচ্ছা না জানাত, তাহলে ববিতা আপা রাগ করতেন।’ বড় বোনের জন্মদিন নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে এভাবেই স্মৃতিচারণ করছিলেন ববিতার ছোট বোন নায়িকা চম্পা।

ববিতা এবারের জন্মদিনে অবস্থান করছেন কানাডায়। কানাডার টরন্টো শহরে ববিতার একমাত্র ছেলে অনিক ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করছেন। ছেলের অনুরোধে তিনি ছেলের সঙ্গে জন্মদিন পালন করতেই সেখানে গিয়েছেন বলে জানান চম্পা। আগামী অক্টোবর মাসে তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

দেশে থাকলে প্রতিবন্ধী ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গেই প্রতিবছর জন্মদিন পালন করেন ববিতা। চম্পা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই সাদামাটা জন্মদিনের অভ্যস্ত ববিতা আপা, এখনো কিন্তু তাই। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন। সেই হিসেবে জন্মদিনটি তিনি তাদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। তবে সন্ধ্যায় থাকত পারিবারিক আয়োজন। এর মধ্যে আমাদের জন্য নিজে রান্না করতেন আপা। সুচন্দা আপা ও আমি আপার পছন্দের খাবারগুলো রান্না করে সন্ধ্যায় একসঙ্গে হতাম, তারপর গভীর রাত পর্যন্ত চলত আমাদের আড্ডা।’

দেশের বাইরে থাকায় বড়বোনকে শুভেচ্ছা জানানো হয়নি। চম্পা বলেন, ‘এখন তো কানাডায় গভীর রাত, যে কারণে এখনো উইশ করা হয়নি। তবে সন্ধ্যায় প্রথমে অনলাইনে কেকের ছবি পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানাব। তারপর ফোনে উইশ করব। আসলে আমরাও আপাকে মিস করছি। কারণ আমরা সব সময় এমন একটা উৎসবের জন্য অপেক্ষা করি, সবাই মিলে সময় কাটানোর জন্য। সবাই দোয়া করবেন আমাদের জন্য।’

ববিতার পুরো নাম ফরিদা আক্তার পপি, তিনি ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলায় জন্ম নেন। ১৯৬৮ সালে জহির রায়হান পরিচালিত ‘সংসার’ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন ববিতা। ১৯৬৯ সালে নায়িকা হিসেবে ‘শেষ পর্যন্ত’ ছবিতে কাজ শুরু করেন তিনি। জহির রায়হান পরিচালিত ‘টাকা আনা পাই’ ছবিতে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন তিনি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দুই শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন ববিতা। তিনি সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনিসংকেত’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রশংসিত হন। বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন।