সাবিলার ‘বিয়ে’!

Looks like you've blocked notifications!
‘রিক্সায় কোনো রিস্ক নেই’ নাটকের একটি দৃশ্যে সাবিলা। ছবি : সংগৃহীত

মডেল ও অভিনেত্রী সাবিলা নূরের বিয়ে! কথাটা শুনে সাবিলার ভক্তরা বিস্মিত হবেন। তবে বাস্তবে ঘটনা সত্য নয়। নাটকের গল্পের প্রয়োজনে বিয়ের সাজ নিতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। নাটকের নাম ‘রিক্সায় কোনো রিস্ক নাই’।

শিবরাম চক্রবর্তীর ‘রিক্সায় কোনো রিস্ক নেই’ গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে হাবীব শাকিল নির্মাণ করেছেন নাটকটি। নাটকটিতে এফ এস নাঈমের বিপরীতে দেখা যাবে সাবিলা নূরকে। আসন্ন ঈদে এনটিভিতে নাটকটিতে প্রচারিত হবে।

শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে পরিচালক হাবীব শাকিল বলেন, ‘ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে আমাদের শুটিং করতে হয়েছে। রেলস্টেশনে শুটিং ছিল মজার। সাবিলা আর নাঈমকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের মতন করে। আমি ও চিত্রগ্রাহক ফুট ওভারের উপর থেকে তাঁদের ক্যামেরা দিয়ে ফলো করেছি।’

নাটকের বিয়ের দৃশ্যের শুটিংও অনেক মজার ছিল বলে জানিয়েছেন পরিচালক। তিনি বলেন,‘বিয়ের সাজে সাবিলা ও নাঈম দুজন দুই জায়গাতে ছিল। নাটকের এই অংশের একসাথে তাদের দৃশ্যের শুটিং হয়নি। সাবিলা খুব দ্রুত তার চরিত্রে প্রবেশ করতে পারে-এটা তার অনেক ভালো দিক।’

হাবীব শাকিল আরো বলেন, ‘বৃষ্টির মধ্যে শুটিং করতে হয়েছে তাই খুব বিপাকে পড়তে হয়েছে আমাদের। তবে সাবিলা ও নাঈম দুজনই খুব  সাহায্য করেছে।’

অন্যা চরিত্রে সাবিলা ও জনি চরিত্রে নাঈম নাটকটিতে অভিনয় করেছেন। নাটকটির গল্পে দেখা যাবে, রিকশা অন্যার প্রচণ্ড অপছন্দের বাহন হলেও তার ভালোবাসার মানুষ জনির কাছে রিকশাই সেরা। প্রচণ্ড অলস জনির কাছে সবচাইতে প্রিয় দুটো জিনিস সকাল বেলার ঘুম আর এই রিকশা। এই দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা আর রিকশায় চড়ে অফিস যাবার জন্য প্রায় প্রতিদিনই তার লেট হয়। আর শুধু মাত্র এই লেট করে যাওয়ার কারণে তিন বছরে তার চাকরিতেও কোনো উন্নতি নেই। না ইনক্রিমেন্ট না প্রমোশন। কারণ প্রচণ্ড টাইম কনশাস বস সব মানলেও লেট করা কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না। অবশ্য এসব নিয়ে জনির খুব একটা মাথাব্যথা নেই। কিন্তু অন্যার চিন্তার শেষ নেই। কেননা, অন্যার বাবা বলেছে এই অলস ছেলের সাথে তিনি তার মেয়ের বিয়ে দেবে না। অন্যাকে চ্যালেঞ্জ দেয় যদি এই ছেলের কোনো প্রমোশন হয় অফিসে তবেই সে বিয়েতে রাজি হবে। সময় তিন মাস। যদি চ্যালেঞ্জে সে হেরে যায় তবে বাবার পছন্দের পাত্রের সঙ্গেই তার বিয়ে হবে। অন্যাও জেদের বসে বাবার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এবং জনিকে এসে সব জানায়। জনি বলে এটা কোনো বিষয়ই না তার জন্য। ভালোবাসার জন্য লোকে দুরন্ত ষাঁড়ের চোখে লাল কাপড় বাঁধে, আর সে সামান্য একটা প্রমোশন ম্যানেজ করতে পারবে না? অবশ্যই পারবে সে। এবার সে আঁটঘাট বেঁধেই নামবে। এভাবে এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।