৫৭ বছর পর মেরিলিন মনরোর বাতিল দৃশ্য উদ্ধার!

Looks like you've blocked notifications!
সর্বকালের সেরা আবেদনময়ী হলিউড তারকা মেরিলিন মনরো। ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হলিউড তারকা মেরিলিন মনরোর কেটে ফেলা দৃশ্য ৫৭ বছর পর পাওয়া গেছে। মনে করা হতো, এটি চিরতরে হারিয়ে গেছে। ১৯৬১ সালে নির্মিত জন হাসটনের চলচ্চিত্র ‘দ্য মিসফিটস’ থেকে ওই দৃশ্যটি কেটে ফেলা হয়েছিল এবং বিশ্বাস করা হতো যে, এটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

লেখক চার্লস ক্যাসিলো ওই দৃশ্যটি উদ্ধার করেন। তিনি তাঁর বই ‘মেরিলিন মনরো : দ্য প্রাইভেট লাইফ অব এ পাবলিক আইকন’-এর জন্য গবেষণাকালে দৃশ্যটি উদ্ধার করেন।

‘দ্য মিসফিটস’ ছবির প্রযোজক ফ্রাংক টেইলরের ছেলে কারটিস টেইলরের কাছে ওই ফুটেজটি তালাবদ্ধ ছিল। চাবিও তাঁর কাছেই ছিল। ১৯৯৯ সালে বাবার মৃত্যুর পর থেকে মনরোর ফুটেজটি কারটিসের কাছে রয়েছে। খবর ডেইলি সানডে এক্সপ্রেস ও ডেইলি মেইলের।

দ্য মিসফিটস ছবির ওই দৃশ্যে মেরিলিন মনরো ও ক্লার্ক গ্যাবল। ছবি : সানডে এক্সপ্রেস

ওই দৃশ্যে সর্বকালের সেরা আবেদনময়ী নারী মেরিলিন মনরোর সঙ্গে ছিলেন ক্লার্ক গ্যাবল। ৪৫ সেকেন্ডের ওই দৃশ্যে মেরিলিন মনরোর শরীরের পেছনের অংশ নগ্ন দেখা যায়। মনরো খাটে বসেছিলেন। বাঁ হাতে বেডশিট ধরা ও ডান হাত উঁচু রাখা। দৃশ্যে ক্লার্ক গ্যাবল তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে আছেন।

কারটিস টেইলর বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করতেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং খুবই যুগান্তকারী যে তিনি এটা রক্ষা করেছেন।

‘দ্য মিসফিটস’ ছবির ওই দৃশ্যটি পরিচালক হাসটন কেটে ফেলেছিলেন, কারণ তিনি মনে করেছিলেন গল্পের জন্য এটা অপ্রয়োজনীয়। কিন্তু প্রযোজক ফাংক টেইলর ভাবতেন, এটা মূল্যবান এবং এ কারণে তিনি সংরক্ষণ করেন।

‘দ্য মিসফিটস’ ১৯৬১ সালে নির্মিত হয়। এর চিত্রনাট্য লেখেন মনরোর তখনকার স্বামী আর্থার মিলার। ছবিটি তিন ভবঘুরে পুরুষের গল্প, যারা এক সুন্দরীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে চেয়েছেন। এটা মেরিলিন মনরোর শেষ সম্পন্ন করা ছবি। এর পরের বছর ১৯৬২ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মনরো মাত্রাতিরিক্ত নেশাদ্রব্য সেবনের ফলে মারা যান।

লেখক ক্যাসিলো বলেন, ‘মিসফিটসের চিত্রনাট্য যদি পড়েন... এখানে নগ্নতা নিয়ে কিছু বলা নেই... যখন তিনি এ দৃশ্য করেন, সেটের সবাই হতাশ হয়েছিলেন।’

“হাসটন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, ‘আমি তাদের আগেও দেখেছি’, গ্যাবল ও অন্যদের... চেয়েছি ফেলে দিতে। হাসটন চাননি... কারণ তিনি ভেবেছিলেন এটা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় দৃশ্য।”

শব্দসহ ওই ফুটেজটি ৪৫ সেকেন্ডের। আলোকচিত্রী ও শিক্ষক কারটিস টেইলর বুঝেছিলেন, কেন তাঁর বাবা এটা যত্ন করে রেখেছিলেন। বলেন, ‘এটা অনেক বেশি কামনাপূর্ণ।’

ওই সময় চলচ্চিত্রে যুগলের শয়নদৃশ্যের ওপর সেন্সরশিপ ছিল।

কারটিস বলেন, ‘গ্যাবল পুরোপুরি পোশাক পরাই ছিলেন। তিনি তাঁর (মনরো) শয়নকক্ষে এসেছিলেন। তখন শুয়েছিলেন তিনি। তিনি তাঁকে আদর করেন, ঘাড়ে চুমু খান এবং মুখ নিজের দিকে এনে গাঢ় চুম্বন দেন।’

ক্যাসিলো তাঁর বইয়ে লেখেন, শুটিং চলাকালে কীভাবে মনরো নেশাদ্রব্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন এবং আশা ছিল অভিনেতা যুভস মনট্যান্ডের সঙ্গে প্রেম চালিয়ে যেতে পারবেন।