চলচ্চিত্রের খলনায়িকাদের ঈদ

বড়পর্দায় যাঁরা নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেন, তাঁদের আমরা খলনায়ক বলেই সম্বোধন করি। ছবিতে শুধু খলনায়ক নন, খলনায়িকাদের দাপটও কিন্তু কম নয়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে রিনা খান, দুলারী, শবনম পারভিন, অরুণা বিশ্বাস ও বর্তমান সময়ে খল চরিত্রে কাজ করছেন নায়িকা মুনমুন। ঈদে নায়ক, নায়িকা ও খলনায়কদের খোঁজখবর নিলেও খলনায়িকাদের খোঁজ তেমন একটা কেউ রাখেন না। তাই এনটিভি অনলাইন জানতে চেয়েছে কেমন কাটছে তাঁদের ঈদ।
রিনা খান বলেন, ‘আমি আসলে ফরিদপুর ঈদ করছি। আমার এক আত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষে এখানে আসা। এখন তো ঈদ আগের মতো হয় না। একটা সময় ছিল, যখন আমরা একে অপরকে বাসায় দাওয়াত করে নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াতাম। কিন্তু দেখা যায়, দাওয়াত করা হয় হোটেলে। আগে বাচ্চাদের নিয়ে ঈদ হতো পাড়ায়, এখন অনেকে বিদেশে চলে যান। তার চেয়ে বড় বিষয়, আমরা শিল্পীরা ঈদের আনন্দ পাই সিনেমা রিলিজ হলে। কিন্তু এখন তো আগের মতো সিনেমা মুক্তি পায় না। যেগুলো পায় সেগুলো নায়ক-নায়িকানির্ভর। সেখানে খলনায়িকাদের চরিত্র নেই বললেই চলে। সময়ের সঙ্গে আসলে ঈদের আনন্দটাও বদল হয়।’
ঢাকাই ছবির আরেক পরিচিত মুখ দুলারী বলেন, ‘আমি আসলে সব সময় ঢাকাতে ঈদ করি। মানিকগঞ্জ থেকে আমার আত্মীয়রা সবাই চলে আসে। ভাইবোন চলে আসে। সবাইকে নিয়ে ঈদ করি। এখন আর আগের মতো ব্যস্ততা নেই। হাতে কয়েকটা ছবি আছে, কিন্তু কাজ হচ্ছে একটু ঢিলেতালে। আগে মাসে ৩০ দিন কাজের মধ্যে থাকতাম। এখন দুই দিনও শুটিং করা হয় না। তবে টিভিতে আমাদের পুরোনো ছবিগুলো দেখানো হয়। সেই ছবিগুলোই আসলে ঈদের আনন্দটা দেয়।’
খলনায়িকা শবনম পারভিনের কাছে ঈদ মানে বাড়ি পাহারা দেওয়া। বললেন, ‘বাড়ির ভাড়াটিয়ারা সবাই চলে যায় ঈদের সময়। যে কারণে বাড়ির সবকিছু দেখে রাখতে হয়। তবে ঈদের সময় আমার বেশ কিছু নাটক যাবে টেলিভিশনে। যেহেতু এখন আমি চলচ্চিত্রে কম কাজ করছি, তাই নাটকেই বেশি সময় দিচ্ছি। সারা মাসই আমি নাটকে ব্যস্ত থাকি। যে কারণে ঈদের সময়টা বাসায় বিশ্রাম নেই।’
নায়িকা থেকে খলনায়িকা বনে যাওয়া মুনমুন সাধারণত ঈদ করেন চট্টগ্রামেই, কারণ সেখানে পরিবারের প্রায় সকলে থাকেন। ঈদ নিয়ে এনটিভি অনলাইনকে মুনমুন বলেন, ‘আগে ঈদটা অনেক বেশি মজার ছিল, বিশেষ করে যখন আমার ছবি মুক্তি পেত। ঈদের দিন বোরখা পরে ছবি দেখতে যেতাম। অনেক সময় ব্ল্যাকে টিকেট কেটে নিজের ছবি দেখেছি। আর এখন বাড়িতে রান্না করেই ঈদের দিনটা পার হয়ে যায়। ছোটরা যখন সালামি নিতে আসে, তখন তাদের মধ্যে নিজেকে খুঁজি। একসময় তো আমি এখানে সালামি তোলার জন্য সবার বাসায় যেতাম। হাতে থাকত ছোট একটা ব্যাগ। এখন আর আগের মতো ঈদের মজাটা আসলে পাই না।’