কলকাতার টিভি চ্যানেলগুলো বন্ধ থাকছে কেন
টলিউডে শুটিং বন্ধ থাকার কারণে কলকাতার প্রথম সারির একাধিক বিনোদনমূলক টিভি চ্যানেল একটার পর একটা বন্ধ হতে যাচ্ছে। ধারাবাহিক, মেগা ধারাবাহিক ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের শুটিং না হওয়ার কারণে টিভিতে দেখানোর মতো অনুষ্ঠান নেই। এ কারণে সাময়িকভাবে বাধ্য হয়ে সিগন্যাল বন্ধ রাখা হয়েছে কলকাতার উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলের। তবে কিছু কিছু চ্যানেলের ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে কিছুক্ষণ বন্ধ রাখার পর থেকে ওই সব বিনোদনমূলক চ্যানেলে বিজ্ঞাপন, লাইভ কিছু প্রোগ্রাম এবং পুরোনো ধারাবাহিকের পর্ব ছাড়া আর কিছুই দেখানো হচ্ছে না। তার পরেই ফের নো সিগন্যাল করে রাখা হচ্ছে। যার ফলে হতাশার মধ্যে পড়েছেন দর্শক।
গত শনিবার থেকে টানা বন্ধ রয়েছে টলিউডে সিরিয়ালের শুটিং। যে কারণে নতুন পর্বের অভাবে কয়েক দিন ধরে মেগা ধারাবাহিকগুলো পুরোনো পর্ব দেখালেও নতুন পর্ব কবে হাতে আসবে, তার নিশ্চয়তা কিছুই পাচ্ছেন না। কবে এই জট কাটবে, তার নিশ্চয়তা না থাকায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে দেখা যায় কলকাতার বেশ কয়েকটি বিনোদনমূলক চ্যানেল বন্ধ রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, কলকাতার এই সমস্ত বিনোদনমূলক টিভি চ্যানেল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে শুধু ধারাবাহিকের নতুন পর্বের অভাবে। সেইসঙ্গে অন্যান্য বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানও টলিউডে শুটিং না হওয়ায় চ্যানেলগুলোর হাত কার্যত শূন্য। আজ বুধবার সকালেও কলকাতার প্রথম সারির বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল বন্ধ থাকতে দেখা যায়। নো সিগন্যাল হয়ে পড়ে রয়েছে ওই টিভি চ্যানেলগুলো। ফলে সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে।
এদিকে, মঙ্গলবার দফায় দফায় বৈঠক শেষেও টলিউডে টিভি সিরিয়ালের শুটিং নিয়ে জট কাটেনি। বুধবার সকাল থেকেই একই চিত্র টলিউডে। বেশ কয়েক দফা দাবিতে টালিগঞ্জের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সংগঠন আর্টিস্ট ফোরাম ধর্মঘট ডেকেছে বলে দাবি করেছে প্রযোজক সংস্থা। যদিও সেই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে আর্টিস্ট ফোরামের তরফে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, অদ্ভুতভাবে মানুষের কাছে বলা হচ্ছে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কাজ বন্ধ করেছেন। আসলে এটা ভুল। শুটিং প্রযোজকরা বন্ধ করে রেখেছেন। প্রযোজকরা সময় দিলেই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কাজ শুরু করবেন। তবে তার আগে আর্টিস্ট ফোরামের দাবি দাওয়া ও বকেয়া মেটাতে হবে প্রযোজকদের। গতকাল রাত পর্যন্ত কোনো সমাধানসূত্র বের না হওয়ায় বুধবারও শুটিং শুরু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাঁর ওপর আজ উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। ফলে ছুটির আবহে এদিন টলিউডের সমস্যা সমাধানের তেমন কোনো রাস্তা নেই।