২২ বছর পর অঞ্জু ঘোষ ঢাকায়
ঢাকাই চলচ্চিত্রে ইতিহাস সৃষ্টিকারী ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা অঞ্জু ঘোষ এখন ঢাকায়। দীর্ঘ ২২ বছর পর তিনি দেশে ফিরেছেন। স্থায়ীভাবে অঞ্জু ঘোষ বসবাস করছেন কলকাতায়। এত বছর কেন তিনি দেশে আসেনি? দেশের প্রতি কোন অভিমান করেছে তাঁর? এনটিভি অনলাইনকে দিলেন এসব প্রশ্নের উত্তর।
দীর্ঘ সময় পর নিজের দেশে আসার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অঞ্জু ঘোষ বলেন, ‘গত বুধবার আমি ঢাকায় এসেছি। কিছুদিন এখানে থাকার কথা রয়েছে। এখন আমার প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করছি, সময় কাটাচ্ছি। আমার কাছে মনে হচ্ছে না অনেক দিন পর এলাম। অনেক ভালো লাগছে, আমাকে সবাই এত ভালোবাসে, মনে রেখেছে, এটা আমার কাছে বড় পাওয়া।’
কেন এত দিন পর দেশে এলেন অঞ্জু ঘোষ, তাহলে কি কোনো অভিমান আছে? হেসে ফেললেন নায়িকা। বললেন, ‘অভিমান থাকবে কেন? মানুষ অভিমান করে নিজের সঙ্গে। এই দেশ থেকে আমি তো অনেক কিছুই পেয়েছি।’
অভিমান নেই জানালেও কোথায় যেন অভিমানের সুর ধরা পড়ল কণ্ঠে। তবে জানালেন দ্রুতই সব প্রশ্নের উত্তর অঞ্জু দেবেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি সাংবাদিকদের এমন আরো অনেক প্রশ্ন আছে। আমি সব প্রশ্নের উত্তর দেবো। আগামী রোববার আমি শিল্পী সমিতিতে যাব। সেদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলব। আমি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে ধন্যবাদ দিতে চাই। কারণ আমি এত বছর দেশে আসিনি, শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দিই না, তারপরও আমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন তিনি। দেশের বাইরে থেকেও আমি নিজেকে উপলব্ধি করতে পেরেছি, বুঝতে পেরেছি আমাকে সবাই ভালোবাসে।’
অঞ্জু ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের সব শিল্পীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা আমার দায়িত্ব। আমি আমার দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছি। আমরা আপানাকে আমাদের সমিতিতে দাওয়াত করেছি। আগামী রোববার তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলতে চেয়েছেন। আমারও ভালো লাগছে এমন একজন শিল্পীকে আমাদের মাঝে পেয়ে।’
২২ বছর আগে, ১৯৯৬ সালে দেশ ছাড়েন অঞ্জু ঘোষ। তখন থেকেই কলকাতায় বসবাস করছেন এই নায়িকা। কলকাতায় বেশ কিছু চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। অঞ্জুর প্রকৃত নাম অঞ্জলি। ১৯৭২ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন। ১৯৮২ সালে চলচ্চিত্র নির্মাতা এফ কবির চৌধুরী চলচ্চিত্রে আনেন তাঁকে। অঞ্জুকে নিয়ে তৈরি করেন ‘সওদাগর’। এরপর ১৯৮৯ সালে ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ তাঁকে এনে দেয় তুমুল জনপ্রিয়তা। ঢালিউডে প্রায় ৫০টি ছবির অভিনেত্রী তিনি।