বলিউড সিনেমা ‘গোল্ড’ বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। শতকোটি ক্লাবে পৌঁছানো এ ছবির অভিনেতা অমিত সাধ। বলিপাড়ার লোকজনের কাছে মজার মানুষ অমিত। সবসময় কৌতুক ও হাসিঠাট্টায় মাতিয়ে রাখেন সবাইকে। অভিনয়ে সাফল্যের পেছনের মন্ত্রদাতা কে? অমিত স্পষ্ট করেই জানালেন, বলিউড সুপারস্টার সালমান খানই তাঁর বিজ্ঞ ও বিশ্বস্ত পরামর্শক।

বলিউড বাবল জানিয়েছে, সম্প্রতি অমিত সাধ ‘লিভোন টাইমস ফ্রেশ ফেস’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন। ‘আন্তশহর ও আন্তকলেজ ট্যালেন্ট হান্ট’ প্রতিযোগিতার এ আয়োজনে নিজের জীবন, পরামর্শক ও অভিনয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

অমিতের অভিনয়জীবনে কে বিজ্ঞ পরামর্শক? উত্তরে তিনি বলেন, ‘ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক বছর ধরেই আমি বিশ্বাস করি, সালমান খান আমার বিজ্ঞ পরামর্শক। তা ছাড়া আমি কঠোর পরিশ্রম করি, আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করি।’

‘সালমান ভাইয়ের পরামর্শ ছাড়াও আমার বাবার কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন। তিনি প্রশংসার দাবিদার, কারণ ছোট থেকেই তিনি আমাকে নানা উপদেশ-পরামর্শ দিয়েছেন। আর সে অনুযায়ীই আমার জীবন পরিচালনার চেষ্টা করছি। যখন শিশু ছিলাম, তখন তাঁর কথা বুঝতাম না। কিন্তু এখন আমি মেনে চলি’, বলেন এ অভিনেতা।

অমিত আরো বলেন, তিনি কাজ ভালোবাসেন। অবসরে বাসায় সময় কাটান। কুকুরের সঙ্গে খেলা করেন।

‘কাজ ভালোবাসি। তাই সত্যিই একঘেঁয়েমি বা ব্যস্ত দিন আমাকে ক্লান্ত করতে পারে না। বাসায় আমার কুকুরের সঙ্গে খেলি আর টেলিভিশন দেখে সময় কাটাই।’

শুরুতে টেলিভিশনে কাজ করেছেন অমিত সাধ। সনি টিভির ‘দুর্গেশ নন্দিনী’ ধারাবাহিকে আইনজীবীর ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি।

২০১০ সালে হরর ছবি ‘ফুঙ্ক-২’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক অমিত সাধের। এরপর ‘কাই পো চি’ (২০১৩), ‘গুড্ডু রঙ্গিলা’ (২০১৫) ও ‘সরকার-৩’ (২০১৭) ছবিতে অভিনয় করেন। ২০০৬ সালে তিনি জনপ্রিয় রিয়েলিটি টিভি শো ‘বিস বস’-এর প্রতিযোগী ছিলেন।