তনুশ্রীকে ক্ষমা চাইতে বললেন নানা
সাবেক ভারতসুন্দরী তনুশ্রী দত্তকে আইনি নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকার। ‘আশিক বানায়া আপনে’ খ্যাত অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত অভিযোগ করেছেন, ১০ বছর আগে শুটিং সেটে নানা পাটেকার তাঁকে যৌন নিপীড়ন করেছিলেন। তবে এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।
নানা বলেছেন, তনুশ্রীর অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং অবশ্যই তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
একটি সংবাদমাধ্যমকে নানা বলেছেন, ‘তনুশ্রীর সব অভিযোগ মিথ্যা। সে কেন এসব বলছে, আমি কীভাবে বলব? সে এসব বললে আমি কী করতে পারি? যৌন নিপীড়ন বলতে সে কী বোঝে? শুটিং সেটে আমার সঙ্গে ৫০ থেকে ১০০ জন মানুষ ছিল।’
‘আমি তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব। মিডিয়াকে এ ব্যাপারে বলাটা সময়ের অপচয়, কারণ আপনারা এটা নিয়ে খেলতে পারেন। মানুষ যা ইচ্ছে বলুক, কিন্তু আমি আমার কাজ চালিয়ে যাব,’ যোগ করেন এ অভিনেতা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে নানা পাটেকারের আইনজীবী রাজেন্দ্র শিকড়কার বলেছেন, তনুশ্রীর অভিযোগ অসত্য।
‘মিথ্যা অভিযোগ ও অসত্য বলার জন্য তনুশ্রী দত্তকে আইনি নোটিশ পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমরা তাঁকে দ্রুতই নোটিশটি পাঠাব, যেন তিনি তাঁর বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান’, বলেন শিকড়কার।
তনুশ্রীর অভিযোগ
দশ বছর আগে ওই ঘটনার পর তিনি ছবির দুনিয়া থেকে দূরে সরে যান। চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। তাঁকে শেষবার বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল ২০১০ সালে, ‘অ্যাপার্টমেন্ট’ ছবিতে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, নানা পাটেকার তাঁর সঙ্গে এমন কাণ্ড করে বসেছিলেন যে তিনি গানের শুটিং ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ গানের শুটিং চলছিল। তিনি অভিযোগ করেন, নারী নিপীড়নের আরো ইতিহাস আছে এই বর্ষীয়ান অভিনেতার।
শুটিং সেটে নানা পাটেকার কী করেছিলেন, তার বর্ণনা দিয়ে নিউজ ১৮-কে তনুশ্রী বলেন, ‘তিনি সব ধরনের চেষ্টাই করেছিলেন। হাত দিয়ে আমাকে ধরে ফেলেন, ঠেলতে থাকেন; এরপর কোরিওগ্রাফারকে সরে যেতে বলেন এবং পরের বিষয়টা আমি জানি, তিনি অন্তরঙ্গ কিছু করতে চেয়েছিলেন। এটা হাস্যকর ছিল।’
‘আমি সম্পূর্ণ সচেতন ছিলাম। প্রতিবাদ করে বলেছি, আমি তাঁর সঙ্গে অন্তরঙ্গ নৃত্য করতে পারব না। কারণ সেটে আমি তাঁর সঙ্গে অস্বস্তিবোধ করছিলাম।’
‘কী ঘটেছিল, তা সবাই দেখেছে। কিন্তু সেই স্মৃতি এবং জনপ্রিয় ধারণা হলো—যদি নিপীড়নের বিরুদ্ধে তনুশ্রী দত্ত মুখ খোলে, তবে তাঁর ক্যারিয়ার আর থাকবে না। পুরো ইন্ডাস্ট্রি ঘটনাটা দেখেছে, কিন্তু নিন্দা জানাতে কেউ টুঁ শব্দটিও করেনি। এ দেশের প্রতিটি মানুষ আমার এ ঘটনাটি জানে এবং জাতীয় টেলিভিশনে তিন দিন ধরে আলাপও চলেছে, কিন্তু এ ব্যাপারে সবাই নীরব। তো, আমার প্রশ্ন হলো, এই হিপোক্রিটদের কে বিশ্বাস করতে যাবে? এইসব মানুষই আবার উঠে দাঁড়ায়, নারী ক্ষমতায়নের কথা বলে,’ যোগ করেন তনুশ্রী।
‘আশিক বানায়া আপনে’ খ্যাত এ অভিনেত্রী আরো অভিযোগ করেন, ওই অন্তরঙ্গ দৃশ্য প্রত্যাখ্যান করার জন্য তিনি ও তাঁর পরিবারের লোকজন আক্রান্ত হয়েছিলেন।