অফিসে পোশাক খুলতে বলেছিলেন সাজিদ খান : করিমি
পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধে এবার যৌন অসদাচরণের অভিযোগ আনলেন ভারতের মডেল, সাবেক বিগ বস প্রতিযোগী ও অভিনেত্রী মন্দানা করিমি। তাঁর ভয়াবহ সে অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেছেন তিনি। একটি শীর্ষ দৈনিককে করিমি বলেছেন, ২০১৪ সালে ‘হামসকলস’ ছবির একটি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সাজিদের অফিসে যান তিনি। সে সময় তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ করেছিলেন।
মন্দানা করিমি বলেন, “‘হামসকলস’ ছবির জন্য সাজিদ খানের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমার ম্যানেজার ও আমি তাঁর অফিসে গিয়েছিলাম। প্রযোজক বাসু ভাগনানির সঙ্গে আলাপের পর আমি সাজিদের রুমে যাই, তখন তিনি বলেন, ‘সুন্দর ছবি, কিন্তু তোমাকে কাপড় খুলতে হবে। দেখে যদি আমার পছন্দ হয়, তবেই তুমি পার্টটি পাবে।’”
এমনকি করিমি যখন সম্পূর্ণভাবে বিব্রত হয়ে পড়েন, তখন তাঁর ম্যানেজার বলেন, সাজিদ বড় পরিচালক। ‘এভাবে, আপনি আপনার ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারেন না’, বলেন করিমি।
সম্প্রতি সাজিদ খানের ‘হাউসফুল-৪’ ছবির শুটিং চলছিল। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে তিন নারী যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনেন। অভিনেত্রী সালোনি চোপড়া, সাংবাদিক কারিশমা উপাধ্যায় ও অভিনেত্রী র্যাচেল হোয়াইট সাজিদের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ করেন।
অভিনেত্রী বিপাশা বসুও সাজিদ খানের বিরুদ্ধে ‘নারীর প্রতি রূঢ় আচরণ ও নোংরা কৌতুকের’ অভিযোগ এনেছেন।
গত মাসে সাবেক ভারতসুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত অভিযোগ করেন, ১০ বছর আগে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির একটি আইটেম গানের শুটিং চলাকালে পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকার তাঁকে যৌন হেনস্তা করেন। এর পরই বলিউডজুড়ে শুরু হয় মি টু আন্দোলন।
যাহোক, ‘হাউসফুল-৪’ ছবির শুটিং থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অক্ষয় কুমার। নানা পাটেকারও এ ছবি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। অন্যদিকে সাজিদ খানও বলেছেন, আপাতত এ ছবি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি।
শুধু সাজিদই নয়, ‘কিয়া কুল হ্যায় হাম’ ছবির পরিচালক উমেশ ঘাড়জির বিরুদ্ধেও অসদাচরণের অভিযোগ এনেছেন মন্দানা করিমি। অভিযোগ, ডেটে যাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় অসদাচরণ করেন উমেশ। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে করিমি বলেন, ‘হেনস্তার মানে এই নয় যে তিনি আমাকে ছুঁয়েছেন, এর মানে আমার জীবন নরক বানিয়েছেন। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।’
এদিকে, বলিউডে ‘#মিটু আন্দোলনের’ প্রচারণা নিয়ে অভিনেতা হৃতিক রোশনের সাবেক স্ত্রী ও ডিজাইনার সুশান খান বলেছেন, মানুষের উচিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা।
‘সত্যি বলছি, আমি এই ইস্যু নিয়ে বেশিকিছু বলতে চাই না। কিন্তু আমি অবশ্যই মনে করি, এখানে অনেক ভণ্ডামি, মিথ্যা অভিযোগ ও পাগলামিপূর্ণ আচরণ হচ্ছে’, বলেন সুশান।
কিছুদিন আগে বলিউডের জ্যেষ্ঠ অভিনেত্রী পূজা ভাটও বলেছিলেন, সব পুরুষকে সাধারণীকরণ করা ঠিক হবে না। কারণ পৃথিবীর সব পুরুষ হেনস্তাকারী নন। অনেকে মিথ্যা অভিযোগেরও শিকার হন। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে