#মিটু : সালমানের সাবেক প্রেমিকা সোমি যা বললেন

ভারতজুড়ে চলছে নিপীড়নবিরোধী ‘হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলন’। গত মাসে বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে তনুশ্রী দত্তর যৌন অসদাচরণের অভিযোগের পর বি-টাউনে ওঠে মি টু ঝড়। দুই বছর আগে হলিউডে যখন মি টু আন্দোলন চলছিল তখন কার্যত নীরব ছিল ভারতের বিনোদন জগৎ।
তনুশ্রীর অভিযোগের পরই অনেক নারী তাঁদের জীবনে ঘটে যাওয়া হেনস্তার বিবরণ দিতে শুরু করেন। বর্ষীয়ান অভিনেতা অলোক নাথ, রজত কাপুর, পরিচালক বিকাশ বেহল, সাজিদ খানসহ বেশ কয়েকজন নামকরা তারকার বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।
বলিউড তারকারা বলছেন, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ মানুষের মৌলিক অধিকার। ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার আহ্বান জানিয়েছেন নারী অভিনেতারা। কিরণ রাও, কঙ্কনা সেন শর্মা, নন্দিতা দাশসহ ১১ জন নারী নির্মাতা ‘প্রমাণিত হেনস্তাকারীর’ সঙ্গে কাজ করবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।
এবার মি টু নিয়ে মুখ খুলেছেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের সাবেক প্রেমিকা সোমি আলি। চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সোমি আলি একটি নাতিদীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে। সেখানে নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া বর্বর-কাণ্ডের কথাও বলেন সোমি।
সোমি লিখেছেন, পাঁচ বছর বয়সে তিনি যৌন হেস্তার শিকার হয়েছিলেন, ১৪ বছর বয়সে ধর্ষিত হয়েছিলেন। যেসব নারী হেনস্তার বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন, তাঁদের অভিবাদন জানিয়েছেন তিনি।
সোমি আলি এখন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। ছবি : ইনস্টাগ্রাম
‘আমি জানি এসব বলা খুব কঠিন, কারণ আমি এ অবস্থার ভেতর দিয়ে গিয়েছি এবং বলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে আমার বহু বছর লেগেছে। এসব কথা পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে অনেক সাহস প্রয়োজন। এমনকি এটা কঠিনও; যখন তুমি এসব বলবে, তখন অনেকে তোমার পাশে আসবে এবং তোমাকে সুরক্ষা দিতে চাইবে, এর বাইরে কিছুই করতে পারবে না। আমি এর ভেতর দিয়ে গিয়েছি, জানি এর নরকযন্ত্রণা’...
ভুক্তভোগীদের উদ্দেশে সোমি আলি বলেন, ‘অবিশ্বাসীরা তোমাকে থামাতে পারবে না। এটা তোমার সত্য। আর সত্য বলতে কখনো ভয় পেয় না। এই সুযোগ হাতছাড়া করো না। এটা এমন এক মুহূর্ত, যার জন্য দীর্ঘদিন আমরা অপেক্ষা করেছি। তোমার কথা শোনাতে ও ন্যায়বিচার পেতে এটাই প্রকৃত সুযোগ। তোমাকে বিশ্বাস করি।’
এর আগেও সোমি আলি তাঁর দুঃস্বপ্নের বর্ণনা করেছিলেন, ‘গৃহ পরিচারকের দ্বারা যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলাম, তখন আমার বয়স ছিল মাত্র পাঁচ। যখন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কিছু বলার জন্য নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল, শিক্ষার্থীদের সব বলেছিলাম। আমি মনে করি, আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতার বর্ণনা অন্যদের মুখ খুলতে সাহস জোগাবে, ভুক্তভোগী এতে লজ্জিত হবে না।’
সোমি আলির জন্ম পাকিস্তানে। সালমান খানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় চলে যান এবং একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) গড়ে তোলেন। সংস্থাটির নাম ‘নো মোর টিয়ারস’ (এনএমটি)। যেসব নারী যৌন হেনস্তার শিকার, তাঁদেরকে সহায়তা করে সোমির সংস্থাটি। সূত্র : বলিউড লাইফ