আবদুর রহমানের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তমা

Looks like you've blocked notifications!
মেকআপম্যান আবদুর রহমান ও নায়িকা তমা মির্জা। ছবি :এনটিভি

“জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত রহমান এখন ‘গৃহবন্দি’” শিরোনামের একটি খবর এনটিভি অনলাইনে গত ১৫ অক্টোবর প্রকাশের পর সেটি নজরে আসে নায়িকা তমা মির্জার। আবদুর রহমান মেকআপম্যান হিসেবে ‘মনের মানুষ’ ও ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ ছবি দুটির জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তাঁর মতো শিল্পীর দুর্দশার খবর দেখে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র মেকআপম্যান সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করেন তমা। সেখান থেকেই তিনি আবদুর রহমানের ঠিকানা জোগাড় করেন। এনটিভি অনলাইনকে তিনি জানান, অসুস্থ আবদুর রহমানের চোখের চিকিৎসার দায়িত্ব তিনি নিতে চান।

তমা বলেন, ‘খবরটা পড়ে আমার চোখে পানি চলে আসে। যিনি আমাদের মুখ সাজিয়ে সবার সামনে নিয়ে আসেন তিনি চোখে দেখছেন না। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না, এটা দুঃখজনক। আমি উনার চোখের চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে চাই।’

তমা আরো বলেন, ‘আমি এখন একটা ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছি। আগামী মাসের ১ তারিখ ঢাকায় ফিরব। আশা করি ২ নভেম্বর রহমান ভাইকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারব। আমি আমার সামর্থ দিয়ে চেষ্টা করব উনার চোখের আলো ফিরিয়ে আনতে। আমি মনে করি, সবাই যদি এমন গুণী মানুষের পাশে দাঁড়ান তাহলে অনেকের অনেক সমস্যাই সমাধান হয়ে যাবে।’

২০১৬ সালে মেকআপম্যান আবদুর রহমানের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়, এরপর থেকেই কাজ করার ক্ষমতা হারান তিনি। অসুস্থ আবদুর রহমানের আশ্রয় এখন প্রয়াত পরিচালক তারেক মাসুদের সহকারী আলী আহসানের বাসায়। নায়িকা তমা তাঁর চিকিৎসায় এগিয়ে আসছেন জেনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আবদুর রহমান।

আবদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি অনেক বেশি কৃতজ্ঞ তমার প্রতি। দুই বছর আগেও আমি অনেক শিল্পীর মুখে মেকাপ দিয়েছি। অথচ আজ চোখে দেখি না। সবাই দোয়া করবেন আমি যেন সুস্থ হয়ে আবারও কাজে ফিরতে পারি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যেন কাজ করে যেতে পারি।’

আবদুর রহমান প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করেন ১৯৬৫ সালে। ২০১০ সালে ‘মনের মানুষ’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৪ সালে মাসুদ পথিক পরিচালিত সরকারি অনুদানের ছবি ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’-এর জন্য দ্বিতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। সর্বশেষ ‘ভুবন মাঝি’ ছবিতে মেকআপম্যানের কাজ করেছেন আবদুর রহমান।