সকালে নুহাশপল্লীতে ছিলাম : শাওন

Looks like you've blocked notifications!

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের আজ ৭০তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে আজ সকালে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে গিয়েছিলেন মেহের আফরোজ শাওন।

সেখানে বাবার কবর জিয়ারত করেছে নিষাদ ও নিনিত। দোয়া মাহফিল ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেয় তারা। এ প্রসঙ্গে মেহের আফরোজ শাওন বলেন, ‘সকালে নুহাশপল্লীতে ছিলাম। কবর জিয়ারত ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঢাকায় ফিরেছি আমরা। সেখানে নিষাদ ও নিনিত তাদের বাবার স্মরণে কবুতরও উড়িয়েছে।’

হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মেহের আফরোজ শাওন আজ দুপুরে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে ‘হুমায়ূন মেলা’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানান। মেলায় হুমায়ূন আহমেদের লেখা গান পরিবেশন করবেন বিভিন্ন শিল্পী। এ ছাড়া কিংবদন্তি এই লেখককে স্মরণে চিত্রাঙ্কন করবে শিশুশিল্পীরা।

এদিকে, শাহবাগের কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে বিকেল ৩টায় হুমায়ূন আহমেদের একক বইমেলা উদ্বোধন করতে যাবেন মেহের আফরোজ শাওন। বিকেল ৫টায় জাতীয় জাদুঘরে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে এক অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন তিনি।

হিমু, রূপা, মিসির আলী ও শুভ্র চরিত্রগুলোর স্রষ্টা হুমায়ূন আহমেদের তিন শতাধিক প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা রয়েছে। তাঁর লেখা অন্যতম উপন্যাসগুলো হলো ‘নন্দিত নরকে’, ‘মধ্যাহ্ন’, ‘জোছনা ও জননীর গল্প’, ‘মাতাল হাওয়া’ ইত্যাদি। ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও গীতিকার হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, তেমনি নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাণ করেও লাখো মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন তিনি। তাঁর নির্মিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘আগুনের পরশমণি’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’,‌ ‘শ্যামল ছায়া’, ‘চন্দ্রকথা’ ও ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ ইত্যাদি। হুমায়ূন আহমেদের লেখা উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘অয়োময়’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘আজ রবিবার’ ইত্যাদি।

পেশাজীবনে হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক। পরে অধ্যাপনা ছেড়ে দিয়ে লেখালেখিতে নিয়মিত হন তিনি।

বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি এই লেখক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ইন্তেকাল করেন।