‘খনা’ নাটকের ৬৩তম প্রদর্শনী আজ

Looks like you've blocked notifications!
‘খনা’ নাটকের একটি দৃশ্য। ছবি : সংগৃহীত

নাটকের দল ‘বটতলা’র পরিবেশনায় বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে  আজ  শনিবার  সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত  হবে  ‘খনা’। এটি হবে নাটকটির ৬৩তম প্রদর্শনী।

এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী রোকসানা রুমা, সামিনা লুৎফা নিত্রা, মোহাম্মদ আলী হায়দার, ইভান রিয়াজ, তৌফিক হাসান ভূঁইয়া, শেউতি শাহগুফতা, মিজানুর রহমান, চন্দন পাল, ম. সাঈদ, পঙ্কজ মজুমদার, অনন্ত হিল্লোল, হুমায়ূন আজম রেওয়াজ, বাকিরুল ইসলাম, নাফিউল ইসলাম, হাফিজা আক্তার ঝুমা ও সুমিত তেওয়ারি রানা।

‘খনা’র  মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা করেছেন আবু আউদ আশরাফী। সুর ও সংঙ্গীত  করেছেন ব্রাত্য আমিন, শারমিন ইতি ও জিয়াউল আবেদীন রাখাল। পোশাক পরিকল্পনা করেছেন যৌথভাবে  তাহমিনা সুলতানা মৌ ও তৌফিক হাসান ভূঁইয়া। কোরিওগ্রাফি করেছেন মোহাম্মদ রাফি ও নাসির উদ্দিন নাদিম। সুর ও সঙ্গীত আয়োজন করেছেন  শারমিন ইতি, অনন্ত হিল্লোল, লোচন, হুমায়ূন আজম রেওয়াজ, শেউতি শাহগুফতা, বাকিরুল ইসলাম।

‘খনা’র গল্পে দেখা যাবে, “এক বিদুষী ‘খনা’ যার অন্য নাম লীলাবতী। তার গল্পটা অনেক পুরোনো, কিংবদন্তির ঘেরাটোপে বন্দি। তবু যেটুকুর তল খুঁজে পাওয়া যায় তাতে বোধ হয় যে তিনি এক বিদুষী জ্যোতিষী, স্বামী মিহিরও একই বৃত্তিধারী। শ্বশুর যশস্বী জ্যোতিষী বরাহ মিহির। পুত্রজায়ার যশ, খ্যাতি ও বিদ্যার প্রভাব দর্শনে বরাহের হীনম্মন্যতা ও ঈর্ষা। শ্বশুরের নির্দেশে লীলাবতীর জিহ্বা কর্তন ও তার ‘খনা’ হয়ে ওঠার গল্প পেরিয়েছে প্রজন্মের সীমানা। খনার বচনের মাঝে টিকে থাকা শত বছরের আগের জল, মাটি, ফসল আর মানুষের গন্ধ মাখা জ্ঞান আর সত্যটুকু কি সত্যি লীলাবতীর? নাকি এ সত্য-তথ্য সবই এ ভূখণ্ডের বৃষ্টি, পলি, আর জল হাওয়ার সাথে মিশে থাকা যুগান্তরের সামষ্টিক জ্ঞানের সংকলন? লীলাবতী শুধুই কি একজন নারী বলে তার পরিণতি নির্মম, নাকি তিনি নারী হয়ে মিশেছিলেন চাষাভুষোর সনে; সেই তার কাল? পুরুষতন্ত্র না শ্রেণি কাঠামো; নাকি উভয় দাঁড়ায় লীলাবতীর বিপ্রতীপে? মিহির বা প্রাকৃত লোকালয় কারোর পরোয়া না করা জীবন ত্যাগী নেশার ঘোর তাকে নিয়ে যায় দিগন্তের ওপার। খনার সত্য শুধু থেকে যায় কৃষকের মুখে। তবু প্রশ্ন থাকে, খনার সত্যই কি একক সত্য? নাকি আজকে নির্ভুল যা কাল তা হতে পারে অসত্য? শুধু সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর যে মৃত্যুনেশা তার সে নেশা কি একরোখা জেদ? খনা নিজেই নিজেকে করে সম্মুখীন প্রশ্নের।”