চিরতরুণ থাকতে চান? পড়ুন মালাইকার টিপস
৪৩ সংখ্যাটিকে পাত্তাই দেন না ‘ছাইয়া ছাইয়া’ কন্যা মালাইকা অরোরা। কীভাবে ধরে রেখেছেন এই রূপ-যৌবন, বলতেই উলটো একটি হাসি ছুঁড়ে দিলেন তিনি। বললেন, ‘অদ্ভুত, মানুষ এমনভাবে বলে যেন আমি ৭০ বছরের। লোকে বলে আমার বয়স ৪৫। একদম না। আমার ৪৩।’ ৪৩-৪৫ এর পার্থক্য যা-ই হোক, এই বলিউড সুন্দরীর শরীর-কাঠামো তরুণ-তরুণীদের আদর্শ।
ইদানিং প্রায় প্রতিদিনই খবরের শিরোনাম হচ্ছেন খান পরিবারের সাবেক বধূ মালাইকা অরোরা। ১৯৯৮ সালে সুপারস্টার সালমান খানের ভাই আরবাজ খানকে বিয়ে করেন মালাইকা। বিয়ের ১৯ বছর পর গত বছর তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ১০ বছরের ছোট ‘গুন্ডে’ অর্জুন কাপুরের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনে সরব পুরো বি-টাউন। মালাইকার গলার চেইনের সঙ্গে ঝুলছে ‘এএম’ লিখিত লকেট। অর্থাৎ অর্জুন-মালাইকা।
ভারতের মুম্বাইয়ে মালাইকা খুলেছেন যোগ স্টুডিও। নাম ‘ডিভা ইয়োগা’। সেখানে সব বয়সী নারীই যেতে পারেন। আর এ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ করতে চান পুরো ভারতে। মালাইকা জানেন স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের গুরুত্ব। শুধু তা-ই নয়, জীবনের কঠিন মুহূর্ত, একাকীত্ব, বিষণ্ণতা থেকে মুক্তি পেতে যোগের বিকল্প নেই। জানালেন মালাইকা নিজেই।
মালাইকা বলেন, ‘তোমার মন খারাপ, ক্লান্ত অথবা গত রাতে তুমি দেরি করে ঘুমাতে গিয়েছ, এসব অজুহাত না দেখিয়ে সকালে সোজা জিমে যেতে হবে। এর ভালো দিক হলো, এটা ভালো থাকার অনুভূতি তৈরি করে, ভালো রাখে আর আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। সবকিছু নিয়ে ব্যবসা করতে ভালো লাগে না, কিন্তু এটা আমাকে ভালো রেখেছে। এটা আসলেই নিজের সম্পত্তি।’
ফিটনেসকে গুরু মানছেন মালাইকা। জানান, যদি তিনি যোগ না করেন, জিমে না যান তবে নিজেকে অসম্পূর্ণ মনে হয় তাঁর।
ফিটনেসের মূলমন্ত্র যোগই বা কেন? মালাইকার সাফ উত্তর, ‘হাজারো মানুষের মতো এটা আমারও কাজে লেগেছে। আমি শুধুই ফিটনেসের জন্য—হোক তা দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, ভারোত্তলন অথবা যোগব্যায়াম। এটা ভালো থাকার অনুভূতি তৈরি করে। আর এটা তো শুধু শারীরিক বিষয় নয়, এটা মনেরও।’
‘আমরা সবাই খারাপ অবস্থার ভেতর দিয়ে যাই, তখন যোগ নিজের দিকে তাকাতে সাহায্য করে, নির্দেশনা দেয়। এই ধরো, যখন আমার সেপারেশন চলছিল, যোগ আমাকে শান্ত রেখেছিল, তাজা নিঃশ্বাস দিয়েছিল। তুমি মাত্র ১০ মিনিটও এটা করতে পারো। তোমাকে যে এক ঘণ্টা করতে হবে, এমন নয়; যদি পারো তো ফ্যান্টাস্টিক। করেই দেখো, এটা তোমার মন, শরীর ও আত্মাকে তাক লাগিয়ে দেবে’, বলেন চিরযৌবনা মালাইকা।
প্রাত্যহিক রুটিন তবে কী? ‘আমি সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠি। দিন শুরু করি যোগব্যায়াম দিয়ে। প্রথম ১৫-২০ মিনিট নিঃশ্বাসের ব্যায়াম ও আসন করি। যদি একদিন না করি, নিজেকে বুড়ো বুড়ো লাগে। যখন যোগব্যায়াম করবে, তখন এই সেন্স তৈরি হবে। এরপর ঘরের কাজকর্ম করি, ছেলের সব ঠিকঠাক করি। তারপর মিটিং, অফিস। প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘণ্টা যোগব্যায়াম করি।’
আর খাবার? মালাইকা বলেন, ‘কারো সঙ্গে চিটিং করতে চাই না। আমি ব্যালেন্সড ডায়েট করি। ফিটনেস আর খাবার একে-অপরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। না খেয়ে থাকা যাবে না। সাধারণ রুটিন পালন করলেই হয়। সকালে নাশতা খেতে হবে। অনেকে সকালে নাশতা করে না। ঠিক আছে, তা হলে ভালো লাঞ্চ করতে হবে। আর রাতের খাবার খুব তাড়াতাড়ি খাওয়া আবশ্যক। আমি তো ঠিক সময়ে খাই, দেরি করি না। ৭টার মধ্যেই রাতের খাবার খেয়ে ফেলি। তুমিও খেয়ে দেখো, পার্থক্য বুঝবে।’ সূত্র : ডিএনএ