কন্যা নিশাকে নিয়ে যত চিন্তা অজয়ের
বাবারা এমনিতেও কন্যার সুরক্ষার জন্য সব সময় চিন্তিত থাকেন। বেশিরভাগ মেয়েকেই এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়। কন্যা ঘরে ফিরতে একটু দেরি হলে চিন্তার শেষ থাকে না বাবা-মায়ের। রাতও জাগেন। অপেক্ষা করেন, কখন ঘরে ফিরবে আদরের মেয়ে। ঘড়িতে রাত কয়টা বাজল, তা ব্যাপার না। অন্যান্য বাবার মতো ঠিক একই অবস্থায় দিন কাটাতে হয় ‘সিংহম’ খ্যাত অজয় দেবগনকে।
বলিউড তারকা অজয় দেবগন ও মিষ্টিকন্যা খ্যাত কাজল দেবগনের ১৫ বছরের কন্যা নিশা দেবগন। তাঁদের ছোট ছেলে যুগ দেবগন। রাতে প্রিয় কন্যা ঘরে ফিরতে দেরি করলে বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অজয়। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন। ওপরতলা থেকে নিচেও নেমে যান।
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা করণ জোহরের বিখ্যাত চ্যাট শো ‘কফি উইথ করণ’-এ সম্প্রতি হাজির হয়েছিলেন অজয় দেবগন ও কাজল। শোতে এই তারকা দম্পতি তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের গল্প বেশ খোলামেলাভাবেই ভাগাভাগি করেন। সেখানেই ছেলেমেয়ের জন্য স্বামী অজয় কেমন পাগলামি করেন, সেসবের বর্ণনা দেন ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’ অভিনেত্রী।
সঞ্চালক করণ জোহর অজয় ও কাজলকে জিজ্ঞেস করেন, অভিভাবক হিসেবে কোন ব্যাপারটি তাঁদের উত্তেজিত করে? কাজল বলেন, ‘আমি মনে করি সবকিছুই। এই যেমন ধরো, কোথায় যাচ্ছে, কতক্ষণে ফিরছে, কে পৌঁছে দিল, সত্যিই কোথায় গিয়েছিল ইত্যাদি ইত্যাদি।’
নিশা এখন বড় হচ্ছে। তারকাসন্তানদের প্রতি এমনিতেই মিডিয়ার মনোযোগ বেশি। অল্প বয়সেও ভক্তসংখ্যা কম নয়। নিশারও রয়েছে অসংখ্য ভক্ত। তাঁরা নিশাকে রুপালি পর্দায় দেখতে যান। একবার কাজল বলেছিলেন, বাইরে মেয়েকে নিয়ে বের হলে নাকি এমন হামেশাই ঘটে, ভক্তরা নিশার সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য ভিড় জমিয়ে ফেলে!
তো, রাতে ঘরে ফিরতে টিনএজ কন্যা নিশার দেরি হলে একটু চিন্তা তো হবেই মা-বাবার।
করণ জোহর অজয়কে জিজ্ঞেস করেন, এখন নিশার টিনএজ চলছে। তার বন্ধুদের মাঝে ছেলেবন্ধুও আছে। এ ব্যাপারটা কি তাঁকে উত্তেজিত করে? এর উত্তরে অজয় দেবগন বলেন, ‘ঠিক তা নয়, কিন্তু হ্যাঁ, আমি এ নিয়ে চিন্তা করি। অনেকবার তাকে রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১২টায় ফিরতে দেখেছি। আর যতক্ষণ না সে ঘরে ফিরছে, আমি নিচে ওর জন্য অপেক্ষা করি, দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকি।’
এই শোতে অজয় আরো জানান, সেলফি নিয়ে রীতিমতো কাজলের সঙ্গে যুদ্ধ বাধে তাঁর। কাজলের নাকি সেলফি তোলার নেশা আছে এবং তিনি ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করতে চান সব সময়। অজয় বলেন, কাজল ও নিশা একটি ছবি পোস্ট করার আগে মাঝেমাঝে তিন ঘণ্টা ধরে এডিট (সম্পাদনা) করেন। সূত্র : মিস মালিনী।