এফডিসিতে মসজিদ বানাচ্ছেন কাদির মোল্লা

এফডিসিতে নির্মিত হচ্ছে আধুনিক সুসজ্জিত একটি মসজিদ। বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজসেবক ও থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লার অর্থায়নে পুরাতন জামে মসজিদের জায়গায় নির্মিত হচ্ছে মসজিদটি। সেখানে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের নামাজ পড়ার আলাদা জায়গা থাকবে।
গতকাল বুধবার বিকেল ৫টায় মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ফারুক, এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমির হোসেন, চিত্রনায়ক ওমর সানী, জায়েদ খান, বাপ্পী চৌধুরী, সাইমন সাদিক, জয় চৌধুরী, সনি রহমান, চিত্রপরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, বদিউল আলম খোকন, শাহীন সুমন, প্রযোজক নেতা খুরশেদ আলম খসরু প্রমুখ।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পর এফডিসির ৮ নম্বর শুটিং ফ্লোরে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে নারীদের জন্য আলাদা নামাজ পড়ার জন্য জায়গা চান অভিনেত্রী নাসরিন। বিষয়টি আবদুল কাদির মোল্লার কাছে উপস্থাপন করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নায়ক জায়েদ খান। আবদুল কাদির মোল্লা বিষয়টি মেনে নেন এবং তখনই মসজিদ নির্মাণের কাজে যুক্ত প্রকৌশলীদের এ বিষয়টি যুক্ত করতে বলেন। দুই কোটি নয় লাখ টাকা ব্যয়ে এই মসজিদ নির্মাণ করার লক্ষ্য নিয়ে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলেও নারীদের জন্য নামাজের স্থান তৈরি করতে আরো ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হতে পারে বলে জানা যায়।
বিএফডিসি জামে মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজসেবক ও থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লার সঙ্গে চলচ্চিত্র অভিনেতা ফারুক, জায়েদ খানসহ অন্যরা। ছবি : এনটিভি
আবদুল কাদির মোল্লা বলেন, ‘আমি এই মসজিদ নির্মাণ শুরু করতে একটু দেরি করেছি। এ জন্য সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। চলতি মাসে এর কাজ শুরু হবে। আগামী দেড় বছরের মধ্যে আমি মসজিদটির চাবি এফডিসি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে চাই। আপনারা দোয়া করবেন আমি যেন ততদিন বেঁচে থাকি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই আবদুল কাদির মোল্লার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অভিনেতা সনি রহমানকে ধন্যবাদ জানান উপস্থিত বক্তারা। কারণ মসজিদ নির্মাণের বিষয়টির সমন্বয়কারী তিনি। এ ছাড়া নায়ক ফারুক, পরিচালক সমিতির সহাসচিব বদিউল আলম খোকন ও শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকেও সবাই ধন্যবাদ জানান। কারণ, মসজিদ নির্মাণের পেছনে তাঁদের উদ্যোগ ছিল অনেক বেশি।