‘বীর’ ছবিতে আবারও শাকিব-বুবলী

Looks like you've blocked notifications!
শুটিংয়ের ফাঁকে শাকিব বুবলী। ছবি: মোহাম্মদ ইব্রাহিম

কে হচ্ছেন ‘বীর’ চলচ্চিত্রে শাকিব খানের নায়িকা, এটা নিয়ে বেশ কদিন ধরেই চলছিল নানা জল্পনা-কল্পনা। তবে শেষ পর্যন্ত জানা গেল ছবিটিতে আবারও জুটি বাঁধবেন শাকিব খান ও শবনম বুবলী। আর এ ছবিটিই হতে যাচ্ছে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ৫০তম চলচ্চিত্র। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে ছবির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছবির নির্বাহী প্রযোজক মোহাম্মদ ইকবাল।

ইকবাল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, “আমাদের ‘বীর’ ছবিতে আমরা শাকিব খানের বিপরীতে নায়িকা বুবলীকে নিচ্ছি। এরই মধ্যে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। ১০ তারিখ থেকে আমরা ছবির শুটিং শুরু করব। বুবলী চলচ্চিত্র শুরু করেছিল ‘বসগিরি’ ছবির মাধ্যমে। কিন্তু  আমার প্রযোজিত ‘শুটার’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছে। দুটো ছবি একসঙ্গে মুক্তি পেলেও আমার ‘শুটার’ ছবিটি আগে সেন্সর ছাড়পত্র পায়। সেই থেকে তাঁর প্রতি আমার আলাদা একটা ভালোবাসাও আছে। কিছুদিনের মধ্যে আমরা নায়িকাকে নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবো।”

ছবির অগ্রগতি জানতে চাইলে ইকবাল বলেন, ‘আমরা ছবির চিত্রনাট্যের কাজ শেষ করেছি। গানের রেকর্ডিংগুলো শেষ করছি। এখন লোকেশন দেখছি। আগামী ১০ জানুয়ারি ছবির শুটিংয়ের জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সব ঠিক থাকলে সময়মতোই শুটিং শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।’

ছবির পরিচালক কাজী হায়াৎ এখন চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তিনি দেশে ফিরে শুটিং শুরু করবেন। এ বিষয়ে ইকবাল বলেন, ‘হায়াৎ ভাই গত শনিবার রাতে আমেরিকা গিয়েছেন। চলতি মাসের মধ্যে উনার একটি অপারেশন হবে। আশা করি, আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই তিনি দেশে ফিরবেন। সবাই দোয়া করবেন, তিনি যেন সুস্থ হয়ে দেশে ফিরতে পারে। উনি সবকিছু আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমরা সেই হিসেবে কাজ করছি। আশা করি, আমাদের শুটিং সময়মতোই হবে।’    

চলতি বছরের শুরুতে নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে একবার চিকিৎসা নেন কাজী হায়াৎ। সম্প্রতি আবারও অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। ২০০৪ সালে হৃৎপিণ্ডে দুটি রিং বসানো হয়েছিল প্রখ্যাত এই চলচ্চিত্র নির্মাতার। ২০০৫ সালে ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয় কাজী হায়াতের। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে আবারও হৃৎপিণ্ডে সমস্যা দেখা দিলে বরেণ্য এই নির্মাতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। তারপর চলতি বছর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা অনুদান পান কাজী হায়াৎ।