মৃণাল সেনের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সৌমিত্র
মৃণাল সেনের মৃত্যুতে মর্মাহত হয়েছেন তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারকে দেওয়া এক খবরে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক ৬০ বছরের ছিল। প্রিয়জনকে হারিয়ে কষ্ট হচ্ছে। আমি মর্মাহত। এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’
পরিচালক এবং অভিনেতা সম্পর্ক ছাপিয়ে পারিবারিক সুন্দর বন্ধনে জড়িয়ে ছিলেন মৃণাল সেন ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। মৃণাল সেনের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়েছে দুই বাংলার চলচ্চিত্র পরিবার। আজ রোববার কলকাতার ভবানীপুরে নিজ বাড়িতে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন এই কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার। বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায় ১৯২৩ সালের ১৪ মে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সেখানে কাটে তাঁর শৈশব ও কৈশোর। ১৯৪৩ সালে কলকাতায় চলে আসেন তিনি।
ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, ভারতের জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ‘রাতভোর’ ছবি নির্মাণের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে ১৯৫৫ সালে যাত্রা শুরু মৃণাল সেনের। বাংলা ছাড়াও হিন্দি, উড়িষ্যা ও তেলেগু ভাষায় ছবি নির্মাণ করেছেন তিনি। তাঁর পরিচালিত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বাইশে শ্রাবণ’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘মৃগয়া’, ‘আকালের সন্ধানে’, ‘ভুবন সোম’, ‘কলকাতা-৭১’, ‘খারিজ’, ‘পদাতিক’, ‘আকাশ কুসুম’ প্রভৃতি।