চিরনিদ্রায় শায়িত কাদের খান
ইংরেজি নতুন বছরের প্রাক্কালেই প্রয়াত হন প্রবীণ অভিনেতা-লেখক কাদের খান। আজ কানাডার একটি কবরস্থানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হলো।
কানাডার একটি হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত সোমবার ৮১ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কাদের খান। তাঁর মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান চলচ্চিত্র অঙ্গন।
এর আগে কাদের খানের ছেলে সরফরাজ বলেন, ‘কানাডায় আমাদের পুরো পরিবার রয়েছে বলে এখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। বৃহস্পতিবার কানাডার স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটায় কাদের খানকে মেডোভেল সিমেট্রিতে সমাধিস্থ করা হবে।’
কাদের খান শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায় ভুগছিলেন এবং ডাক্তাররা তাঁকে নিয়মিত ভেন্টিলেটর থেকে বাইপ্যাপ ভেন্টিলেটরে স্থানান্তর করেছিলেন। শেষ কয়েক দিনে কাদের খানের ছেলে সরফরাজ ও পুত্রবধূ সর্বক্ষণ পাশে ছিলেন তাঁর।
মেডিকেল প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাদের খান প্রগ্রেসিভ সুপ্রানিউক্লিয়ার পালসিতে আক্রান্ত ছিলেন। এটি এমন একটি মারাত্মক রোগ, যা ভারসাম্য হ্রাস, হাঁটাচলাসহ নানা সমস্যা সৃষ্টি করে।
১৯৩৭ সালের ২২ অক্টোবর আফগানিস্তানের কান্দাহারে জন্ম হয় কাদের খানের। ১৯৭৩ সালে যশ চোপড়া পরিচালিত ‘দাগ’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে কাদের খানের। অভিনয়ের পাশাপাশি সংলাপ লেখায়ও তিনি ছিলেন বেশ দক্ষ।
১৯৭০-৮০-এর দশকে প্রায় ২৫০টি ছবির সংলাপ লিখেছেন কাদের খান। সারা জীবনে ৩০০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
মনমোহন দেশাই ও প্রকাশ মেহরার মতো পরিচালকের সঙ্গেও কাজ করেছেন কাদের খান।
মনমোহন দেশাইয়ের সঙ্গে তাঁর ছবিগুলি হলো ‘ধর্মবীর’, ‘গঙ্গা যমুনা সরস্বতী’, ‘কুলি’, ‘দেশপ্রেম’, ‘সুহাগ’, ‘পারভরিশ’ ও ‘অমর আকবর অ্যান্থনি’ এবং প্রকাশ মেহরার সঙ্গে চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘জওয়ালামুখি’, ‘শরাবি’, ‘মুকাদ্দর কা সিকান্দার’। সূত্র : এনডিটিভি