কাজী হায়াৎ অস্ত্রোপচারের জন্য উপযুক্ত কি না জানা যাবে আজ

নির্মাতা কাজী হায়াতের ঘাড়ের একটি রক্তনালি ব্লক হয়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি নিউইয়র্কে গেছেন গত ২২ ডিসেম্বর।
দেশের বরেণ্য এই পরিচালক সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানিয়ে তাঁর ছেলে নায়ক কাজী মারুফ ফেসবুকে আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় লিখেছেন, ‘এখন থেকে ১২ অথবা ১৪ ঘণ্টা পর এনজিওগ্রাম করা হবে। আমার আব্বার ব্রেইনে দেখা হবে কতখানি ব্লক আছে। আমি অনুরোধ করব, সবাই দোয়া করবেন যেন সার্জারি করার উপযুক্ত থাকে এবং উনি পূর্ণ সুস্থতা ফিরে পাক।’
বাবার জন্য দোয়া চেয়ে কাজী মারুফ আরো লিখেছেন, ‘শেষ ২৪ ঘণ্টা আমার জন্য অনেক কষ্টকর ছিল। আমি খুব অসহায় অনুভব করছিলাম, যদিও বাবার চিকিৎসার জন্য এখানকার বিশ্বসেরা স্বনামধন্য চিকিৎসকরা কাজ করছেন। আমার বাবার বিরুদ্ধে একটা কথা শুনতাম সব সময়, আমার আব্বা অনেক রাগী। যাদের ওপর রাগ করত, তাদের হয়তো ভালোওবাসত কোনোভাবে। আমার আসলে কিছু ভালো লাগছে না। জানি না, কেন আজ জীবনে প্রথমবার খুব অস্থিরতা অনুভব করছি। আমার মনে পড়ে, ২০০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আব্বুর ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছিল। ওটি গেটের বাইরে দাঁড়িয়েছিলাম চার ঘণ্টা। যখন এক ঘণ্টা পর আমার আহমেদ ফুপা বের হয়ে বলল, চিন্তা কইরো না ভালোভাবে করতেসে, একটু শান্তি পেলাম। দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়ায় থাকলাম। আরো দুই ঘণ্টা পার হবার পরেও যখন কেউ বের হচ্ছিল না, রোজা মানত করলাম। সেদিনও রোজা ছিলাম; কিন্তু আজ আমি হয়তো বোকা হয়ে গিয়েছি বা যাচ্ছি। সেদিন বড় খালু ছিল, হান্নান আঙ্কেল ছিলেন (মোহাম্মদ হান্নান) আব্বুর ফ্রেন্ড। আজ আমি আমাকে খুব একা পাচ্ছি। মা আছেন, বৌ আছে। আমার বলতে দ্বিধা নেই আজ আমার বৌ অনেক করেছে। আমি কৃতজ্ঞ তাঁর কাছে। তবুও খুব বেশি খারাপ লাগছে।’
গত বছরের মার্চে নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে একবার চিকিৎসা নেন কাজী হায়াৎ। সম্প্রতি আবারও অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। ২০০৪ সালে হৃৎপিণ্ডে দুটি রিং বসানো হয়েছিল প্রখ্যাত এই চলচ্চিত্র নির্মাতার। ২০০৫ সালে ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয় তাঁর। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে আবারও হৃৎপিণ্ডে সমস্যা দেখা দিলে বরেণ্য এই নির্মাতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। তারপর গত বছর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা অনুদান পান তিনি।