আওলাদ হোসেন স্মরণে বাচসাস-এর আয়োজন

সদ্যপ্রয়াত বিশিষ্ট বিনোদন সাংবাদিক মোহাম্মদ আওলাদ হোসেনের স্মরণে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) আয়োজন করেছে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। ৯ অক্টোবর, শুক্রবার এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে এই আয়োজন।
স্মরণসভায় আওলাদ হোসেনের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি থাকছে তাঁর জন্য দোয়া মাহফিল। গত ২ অক্টোবর রাতে নিজ বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে মোহাম্মদ আওলাদ হোসেনকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে সেখানে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
সাংবাদিক আওলাদ হোসেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দৈনিক মানবজমিনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৭ সালে দৈনিক খবরের চলচ্চিত্রবিষয়ক ম্যাগাজিন ‘সাপ্তাহিক ছায়াছন্দ’তে সহসম্পাদক পদে যোগদানের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন আওলাদ হোসেন। ২০০৪ সালে তিনি যোগ দেন দৈনিক মানবজমিনে।
আওলাদ হোসেন দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক দিনকাল, দৈনিক যুগান্তর, সাপ্তাহিক চিত্রবাংলা, সাপ্তাহিক মনোরমা, সাপ্তাহিক বর্তমান দিনকাল, সাপ্তাহিক চিত্রালী, পাক্ষিক প্রিয়জন, পাক্ষিক বিনোদন বিচিত্রা, চ্যানেল আইয়ের পাক্ষিক আনন্দ আলো ও পাক্ষিক আনন্দভুবন পত্রিকায় নিয়মিত আমন্ত্রিত লেখক হিসেবে চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতিবিষয়ক কলাম ও প্রতিবেদন লিখেছেন।
সাংবাদিক হিসেবে তিনি দেশের চলচ্চিত্রবিষয়ক প্রতিবেদকদের অধিকার আদায় ও চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নিজেকে বিভিন্ন আন্দোলনে সম্পৃক্ত করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ২০০২-০৩ কার্যবর্ষে ‘ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক’ পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ফিল্ম জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন ১৯৬৬ সালের ১৯ আগস্ট ঢাকার ইসলামপুরের নিজ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মৃত মোবারক হোসেন ও মা লুৎফুন্নেসার পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি চতুর্থ। হাম্মাদিয়া হাই স্কুলের মানবিক বিভাগ থেকে ১৯৮২ সালে এসএসসি, ১৯৮৪ সালে শেখ বোরহানুদ্দীন কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি ও তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ থেকে অর্থনীতি বিভাগে ১৯৮৭ সালে অনার্স ও ১৯৯০ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি।
মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন ১৯৯২ সালের ৯ জানুয়ারি মৌসুমী হোসেনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির মো. শাহবাজ হোসেন মুন ও অপরাজিতা হোসেন মীম নামের দুই সন্তান রয়েছে। ছেলে ও মেয়ে দুজনেই বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে পড়ছেন।