শয্যাসঙ্গী না হওয়ায় মডেল মানসীকে খুন!

Looks like you've blocked notifications!
আলোকচিত্রীর হাতে নির্মমভাবে খুন হন মডেল মানসী দীক্ষিত। ছবি : সংগৃহীত

গত বছরের অক্টোবরে ১৯ বছরের উঠতি আলোকচিত্রী সৈয়দ মুজাম্মিলের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছিলেন ২০ বছর বয়সী মুম্বাইয়ের উঠতি মডেল মানসী দীক্ষিত। এই খুনের ঘটনা চমকে দিয়েছিল সবাইকে। খুনের তিন মাস পর বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, সম্প্রতি মডেল মানসী হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে বাঙ্গুর নগর পুলিশ। অভিযোগপত্র অনুযায়ী, শয্যাসঙ্গী হওয়ার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নিজ বাড়িতে মানসীকে খুন করেন আলোকচিত্রী সৈয়দ মুজাম্মিল। গত বছরের ১৫ অক্টোবর খুন হন মানসী।

পুলিশ বলছে, ঘটনার মাত্র কয়েকদিন আগে মডেল মানসী দীক্ষিতের সঙ্গে পরিচয় হয় মুজাম্মিলের এবং তাঁর প্রতি ভালো লাগা তৈরি হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে মুজাম্মিলের স্বীকারোক্তি, ‘ফটোশুটের জন্য আমি তাঁকে ডাকি এবং শয্যাসঙ্গী হওয়ার প্রস্তাব দিই। যখন তিনি প্রত্যাখ্যান করেন, আমি কাঠজাতীয় বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করি।’

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মাথায় আঘাতের পর যখন মানসী অচেতন হয়ে পড়েন, তখন তাঁকে নির্যাতন করেন মুজাম্মিল এবং ধর্ষণচেষ্টাও করেন। এর পর ফিতা ও দড়ি দিয়ে মানসীর শ্বাসরোধ করেন মুজাম্মিল। মুজাম্মিলের পোশাক থেকে বীর্যের নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বলছে, মানসী দীক্ষিতের গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

খুনের পর মুজাম্মিল একটি ব্যাগে ঢোকান মানসীকে এবং একটি ক্যাব ভাড়া করেন। যখন ক্যাব চালক তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ব্যাগ এত ভারী কেন—মুজাম্মিল রাইড ক্যানসেল করে দেন।

উত্তর মুম্বাইয়ের ওশিয়ারায় নিজ বাসভবন থেকে মুজাম্মিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ আরো দুই নারীর বিবৃতি রেকর্ড করেছে, যাঁদের ফটোশুটের কথা বলেছিলেন মুজাম্মিল।

এর আগে মুম্বাই মিরর প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, মুম্বাইয়ের পূর্ব মালাদের মাইন্ডস্পেসের রাস্তার পাশের জঙ্গলে ২০ বছর বয়সী ওই মডেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। একটি ভ্রমণ-ব্যাগের ভেতর মেয়েটির মৃতদেহ ছিল। পুলিশ মুঠোফোনের কল অনুসরণ করে খুনিকে গ্রেপ্তার করে।